স্টাফ রিপোর্টার : জামালপুরে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, দেশব্যাপী সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরির জন্য আমাদের কাছে কয়েক হাজার আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু বাছাইয়ে সেখান বেশীর ভাগ আবেদন বাদ পড়েছে। কারণ অনেক সাংবাদিকের নিয়োগপত্রে বেতন উল্লেখ থাকে না, বেতন উল্লেখ না থাকলে তা নিয়োগপত্র হতে পারে না। অবশ্যই নিয়োগপত্রে বেতন উল্লেখ থাকবে হবে। অনেকের নিয়োগপত্রে উল্লেখ থাকে বিজ্ঞাপনের জন্য কমিশন দেয়া হবে। বিজ্ঞাপনের পেছনে সাংবাদিকদের ছুটতে হলে তিনি আর সাংবাদিক থাকেন না, তিনি তখন ওই প্রতিষ্ঠানের দালাল হয়ে যান। গতকাল রোববার দুপুরে ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’ শীর্ষক সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলমান প্রক্রিয়া। এটি চলতেই থাকবে, যাদের আবেদন বাতিল হয়েছে তারা সংশোধন করে আবার আবেদন করতে পারবেন। নীতিমালা অনুযায়ী সকল সাংবাদিকদের ডাটাবেজে অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
জামালপুর সার্কিট হাউজ কনফারেন্স রুমে এই সেমিনার ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল। জেলা প্রশাসক মো: শফিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, পুলিশ সুপার মো: কামরুজ্জামান, সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও যায়যায়দিনের সাংবাদিক ইউসুফ আলী, এসএ টিভি ও বাংলাদেশ বেতারের ফজলে এলাহী মাকাম, দীপ্ত টিভির তানভীর আহমেদ হীরা, এনটিভি ও খবরের কাগজের আসমাউল আসিফ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, সরকার, প্রশাসন, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকরা মিলে অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধ করে সাংবাদিকতার মান উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মতবিনিময় সভায় জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত ৪০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।