সাংবিধানিক অধিকারে বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে পুলিশ

সায়েন্স ল্যাব, নীলক্ষেত এবং নিউমার্কেট এলাকায় পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে কোনো কর্মসূচিই পালন করতে পারেননি কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৪টা ২১ মিনিটের দিকে বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু করলেও কোনো জায়গায় দাঁড়াতে পারেননি তারা। ফলে নীলক্ষেত মোড় থেকে ঘুরে ঢাকা কলেজের সামনে এসে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন তারা।

সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা কলেজ শাখার সমন্বয়ক নাজমুল হাসান অভিযোগ করেন, শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। 

তিনি বলেন, সংবিধান নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবে মিটিং মিছিল সমাবেশ করার অধিকার দিয়েছে। পুলিশ সেই অধিকার ক্ষুণ্ন করতে পারে না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল আচরণ করেনি। নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ ভাইরা কেন বাধা দেবে সেটি আমাদের বোধগম্য নয়। পুলিশের এমন আচরণের প্রতি আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা কয়েক দিন ধরে সায়েন্স ল্যাবসহ আশপাশের এলাকায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছি। কোথাও কারো সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়নি। আমরা পুলিশের প্রতি উদার আহ্বান জানাই, আপনারা আমাদের পাশে দাঁড়ান। কারণ আপনাদের ভাই এবং সন্তানদেরও কিন্তু চাকরি পেতে হবে। পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। 

তবে আন্দোলনকারীদের এমন দাবি অস্বীকার করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। 

কেন তাদের বাধা দেওয়া হলো জানতে চাইলে পুলিশের নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রেফায়েতুল ইসলাম বলেন, তাদের শুধু শাহবাগে অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে তারা কোথাও যেতে পারবে না। 

শিক্ষার্থীদের শাহবাগ যেতে দেওয়া হয়নি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, না তারা শাহবাগে যেতে চায়নি। তারা নীলক্ষেত থেকে ইউটার্ন নিয়েছে। আর আমাদের কাছে খবর ছিল, বাধা না দিলে নীলক্ষেত বসে পড়ার সম্ভাবনা ছিল।

অপরদিকে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের এডিসি ইহসানুল ফিরদাউস। 

তিনি বলেন, আমরা শুনেছি শাহবাগ মোড়ে শিক্ষার্থীরা আসছেন। আজকে তারা শাহবাগ মোড়ে এসে বক্তব্য দিয়ে চলে যাবেন এই তথ্য আমরা জানতে পেরেছি। তারা আজ রাস্তা অবরোধ করবে না বলে এমন তথ্য ছিল আমাদের কাছে।