গলের ব্যাটিং স্বর্গেও প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ ছিলেন সাদমান ইসলাম। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ঠিকই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন এই ওপেনার। ইতোমধ্যেই পেয়েছেন ব্যক্তিগত ফিফটি। এই মাইলফলক স্পর্শ করতে ৭০ বল খেলেছেন তিনি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গল টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ১০৫ রান। সবমিলিয়ে টাইগারদের লিড এখন ১১৫ রানের। এর আগে প্রথম ইনিংসে ৪৯৫ রান করেছিল সফরকারীরা। আর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৮৫ রানে থেমেছিল শ্রীলঙ্কা।
১০ রানে এগিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। আগের ইনিংসে রানের খাতা খুলতে না পারা ওপেনার এনামুল হক বিজয় এবার ফেরেন ৪ রানে। বাঁহাতি অফস্পিনার প্রবাথ জয়সুরিয়ার গুড লেংথের বলে এজ হয়ে উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসের গ্লাভসে ধরা পড়েন। তাতে ২৪ রান থেমেছে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মুমিনুল হক। উইকেটে থিতু হয়েও উইকেট বিলিয়ে এসেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। অভিষিক্ত স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েকের বলে সুইপ করতে গেলে শর্ট পয়েন্ট দাঁড়ানো আরেক অভিষিক্ত লাহিরু উদারার হাতে ধরা পড়েন এ ব্যাটার। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ রান।
দুই উইকেটে ৬৫ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফেরার কিছুক্ষণ পরই অর্ধশতক পূরণ করেন সাদমান। থারিন্দুর করা বল ডিপ কভারে ঠেলে দিয়ে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ টেস্ট ফিফটিতে পৌঁছান এ ওপেনার। অন্যপ্রান্তে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন অধিনায়ক শান্ত। বর্তমানে সাদমান ৬২ ও শান্ত ২৪ রানে ব্যাট করছেন।
এর আগে ৪ উইকেটে ৩৬৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিন ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। অফ স্পিনার নাঈম হাসানের ফাইফারে আগের দিনের সাথে ১১৭ রান যোগ করতেই বাকি সব উইকেট হারায় লঙ্কানরা। স্বাগতিকদের হয়ে ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ১৮৭ রানই সর্বোচ্চ।
এ ছাড়া কামিন্দু মেন্ডিস ৮৭ ও দিনেশ চান্দিমাল করেন ৫৪ রান। আর কেউ ফিফটির দেখা পাননি। নাঈমের ৫ উইকেট ছাড়াও হাসান মাহমুদ ৩ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন তাইজুল ইসলাম ও মুমিনুল হক।