বাফুফে নির্বাচন ও নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সমান্তরালভাবেই চলেছে। নির্বাচনী ব্যস্ততায় ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির কেউই কাঠমান্ডুতে যাননি। সাবিনা খাতুনরা ফাইনালে ওঠায় নিজ উদ্যোগে চার নির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন, গোলাম গাউস, কামরুল হাসান হিল্টন ও টিপু সুলতান কাঠমান্ডুতে গিয়েছেন।
টিপু সুলতান এই দলের দলনেতাও। নির্বাচনের পর তিনি ফাইনাল দেখতে গেছেন। গত চার বছর সিনিয়র-জুনিয়র সকল নারী দলেরই ম্যানেজার থাকা আমিরুল ইসলাম বাবু নির্বাচনে জিতেও যাননি। নির্বাচনের জন্য তিনি এবার দলের ম্যানেজারও হননি।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ইকবাল হোসেন সর্বাধিক ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাহী সদস্য হয়েছেন। ইকবাল হোসেন আজ নেপালের কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দলের সবার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমরা তোমাদের ফাইনাল দেখতে এসেছি। আমাদের সবার সমর্থন তোমাদের দিকে রয়েছে। আমরা সবাই মিলে ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরতে চাই।’ বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল এএফসির সভায় যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়া গিয়েছেন। সভাপতির বার্তা নিয়েই তাই চার সদস্যের নেপাল যাত্রা, ‘আমাদের নতুন সভাপতি তোমাদের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছে। সভাপতি তোমাদের প্রতি বার্তা দিয়ে পাঠিয়েছেন। আর মাত্র একটি ম্যাচ, ভালো করে খেল। আমাদের এই দুঃসময়ে একটি ট্রফি খুব দরকার।’
খেলোয়াড়-কোচদের দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য বিষয়। বিষয়টি নব নির্বাচিত সদস্যদেরও জানা। খেলোয়াড়দের অভাব-অভিযোগ ফেডারেশন আমলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি জানিয়ে সাবেক এই জাতীয় ফুটবলার বলেন, ‘তোমরা দেশে ফিরলে সভাপতি তোমাদের সঙ্গে বসবেন। তোমাদের কথা শুনবেন। সব কিছু ভুলে এখন আগামীকাল ম্যাচের দিকে মনোযোগ রাখো সবাই।’
১৯৯৯ সালে কাঠমান্ডু এসএ গেমসে বাংলাদেশ ফুটবলে স্বর্ণ জিতে। সেই দলেও ম্যানেজার-খেলোয়াড়দের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল চরমে। বাফুফের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক বাদল রায় ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু গিয়ে সেই সমস্যার সমাধান করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত জুয়েল রানার নেতৃত্বে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথমবারের মতো ফুটবলে স্বর্ণ জেতে বাংলাদেশ। দুই যুগ পর সেই নেপালেই দক্ষিণ এশিয়ার আরেক টুর্নামেন্টে একই সমস্যায় বাংলাদেশ। ইকবালের এই বার্তা কি বাদলের মতো সাফল্যের নেপথ্যের টনিক হবে!