বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হককে ‘ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেপ্তারের ঘটনায়’ ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। মঞ্চ মনে করে, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই সরকারি পদ ও ক্ষমতা ব্যবহার করে মহিবুল হককে অন্যায়ভাবে জেলে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, ‘চার বছর আগে অবসরে যাওয়া মহিবুল হককে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিরোধী দলসমূহের মহাসমাবেশে এক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত হয়ে তার মামলার সঙ্গে মহিবুল হকের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা না থাকার কথা জানিয়ে হলফনামা দিলেও গত একমাসে তার জামিন হয়নি। তিনি যাতে জামিনে ছাড়া না পান তার জন্য ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে এক নিহতের মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
নেতারা বলেন, ‘কাজে গতি থাকলে ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫-এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব। সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হলে জাতীয় নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যেতে পারে। বাতিল হওয়া স্থানীয় পরিষদের কাউন্সিলরদের পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ নেই।’
অন্তর্বর্তী সরকারের সরকারপ্রধান কর্তৃক জাতীয় নির্বাচন ও জাতীয় ঐকমত্য সংক্রান্ত কমিশন গঠনের ধারণাকে স্বাগত জানিয়ে নেতারা বলেন, ‘সরকারের কাজের গতি ও দক্ষতা থাকলে ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ২০২৫ সালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব।’
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর মানুষের বিপুল প্রত্যাশা। তারা যদি তাদের দলনিরপেক্ষতা হারান তাহলে তাদের অধীনে জাতীয় নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যেতে পারে।
বিশেষ কোনো দিকে ঝুঁকে না পড়ে সরকারকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বাতিল হওয়া স্থানীয় পরিষদের কাউন্সিলরদেরকে পুনর্বহাল করার তৎপরতায় তীব্র প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে দেশবিরোধী অপতৎপরতার প্রতিবাদে ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে আগামী ২৪ ডিসেম্বর বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা করা হয়। এদিন বেলা ১১টায় পুরানা পল্টন মোড়ে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।