মোহাম্মদ আলী : নিজেদের স্কুলে নিজেদের কেন্দ্র বসে পরীক্ষা দিচ্ছে মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ কলাবাধা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে অবৈধ সুযোগ করে দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার, একাডেমি ভবনে ও রোববার মাঠে খোলা আকাশের নীচে সামিয়ানার তলে বসে পরীক্ষা দিয়েছে পরীক্ষার্থীরা। জানাযায়, এসএসসি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী যে স্কুলের পরীক্ষার্থী সে স্কুলে বা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পারবে না। কিন্তু, কলাবাধা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারের সে নিয়মকে অমান্য করে নিজেদের কেন্দ্রেই পরীক্ষা নিচ্ছে নিজেদের স্কুলের ছেলে মেয়েদের! তারা প্রথম দিনের বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা নিয়েছেন একাডেমি ভবনে দ্বিতীয় দিনের বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষা নিয়েছেন স্কুল মাঠে সামিয়ানার নীচে!
স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন সেচ্চারীতা ও খামখেয়ালিপনা দেখে বিষ্ময়ে হতবাক হয়েছেন ওই শিক্ষার্থী অভিভাবকরা। তারা জানান, খোলা আকাশের নীচে অস্থায়ী সামিয়ানা করে যখন পরীক্ষা নেওয়া হলো তখন যদি বৃষ্টি হতো তাহলে ওইসব শিক্ষার্থীদের কি অবস্থা হতো? আর তাদের সে ক্ষতির দায় ভার কে নিত?
কলাবাধা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক জানান, এমন অনৈতিক ও হটকারি সিদ্ধান্তের জন্য দায়ী প্রধান নজরুল ইসলাম বারু। তিনি শুধু কেন্দ্র স্থাপনের ব্যাপারে অনিয়ম করেননি, কোনো দায়িত্বে না থেকেও পরীক্ষার্থী মেয়েকে অনৈতিক সুবিধা দিতে স্বার্বক্ষণিক কেন্দ্রে অবস্থান করেছেন। উল্লেখ্য যে, নজরুল ইসলাম বারুর মেয়ে ফৌজিয়া আফিফা, যার রোল নাম্বার ২৩২৮৫০ কলাবাধা কেন্দ্রের ১নাম্বার কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছে। কেন্দ্র স্থাপনের ব্যাপারে হল সুপার মোনায়েম খাঁ বলেন, উপজেলা প্রসাশন আমাকে এখান থেকে কেন্দ্র স্থানান্তরের ব্যাপারে আবেদন করতে বলেছেন। আমরা খুব শিঘ্রই আবেদন করব। কলাবাধা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থাকা উপজেলা একাডেমিক অফিসার, আশরাফ হোসেন বলেন, কলাবাধা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বকেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়া ও প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামকে পরীক্ষাকেন্দ্রে বিচরণ করতে আমি বার বার বারণ করেছি। তারা মানেননি।
এব্যাপারে মেলান্দহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, মোহাম্মদ আজাদুর রহমান বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিজ স্কুলে বা নিজ কেন্দ্রে বসে পরীক্ষা দেওয়ার কোনো আইন নেই। তাও আবার সামিয়ানার তলে। আমি বিষয়টি জানতাম না। আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। ঘটনার সত্যতা সাপেক্ষে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।