বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভিকি সাহেব গুপ্ত এবং সাগর শিরিযোগেন্দ্র পাল নামের ওই দুই ব্যক্তিকে গুজরাটের ভুজ এলাকার একটি মন্দির থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুজনই বিহারের বাসিন্দা।
মুম্বাই পুলিশের দাবি, তারা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের সদস্য। ভিকি সাহেব এবং শিরিযোগেন্দ্র কয়েকদিন আগে মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলার একটি জায়গা থেকে দুটি বাইক ভাড়া নেন। এরপর সালমানের খামারবাড়ি পানভেল এলাকার ভাড়াবাড়িতে বাইক দুটো এনে রাখেন তারা। ঘটনার দিন রোববার ভোরে ওই বাইকে করেই সালমানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এসে চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান তারা, যে দৃশ্য ধরা পড়েছে সালমানের বাড়ির সিসি ক্যামেরায়।
এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই হামলার দায় স্বীকার করে নতুন আরেকটি হুমকি দিয়েছেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। মূলত এরপরেই নড়েচড়ে বসে মুম্বাই পুলিশ। গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্ত দুজনকে। যাদের একজনের বয়স ২৫ বছর, অপরজনের ২২।
ফেসবুক পোস্টে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই লেখেন, ‘আমদের ওপর হওয়া অত্যাচারের নিষ্পত্তি চাই। যদি তুমি সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামতে চাও, তাই সই। আজ যা হয়েছে, সেটা শুধু ট্রেলার ছিল সালমান খান। যাতে তুমি বুঝতে পারো, আমরা চাইলে কতদূর যেতে পারি। এটাই ছিল তোমাকে দেওয়া শেষ সুযোগ। এরপর গুলিটা তোমার বাড়ির বাইরে চলবে না। দাউদ ও ছোটা শাকিল নামের যে দুইজনকে তুমি ভগবান মানো, সেই নামের দুটি কুকুর পুষেছি বাড়িতে। বাকি বেশি কথা বলার মানুষ আমি নই। জয় শ্রী রাম।’
এদিকে সালমানের বাড়িতে হামলার পর গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে ক্রাইম ব্রাঞ্চের ১০টি দল মোতায়েন করে মুম্বাই পুলিশ। এর আগেও গত বছরের মার্চ মাসে সালমান খানকে হুমকি দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার একটি ইমেইল আসে। অভিনেতার পরিণতিও সিধু মুসেওয়ালার মতোই হবে, এমন বার্তাই লেখা ছিল সেই মেইলে।
পরবর্তীতে মুম্বাই পুলিশ লরেন্স বিষ্ণোই ও গোল্ডি ব্রারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৫০৬-২ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) এবং ৩৪ (সাধারণ উদ্দেশ্য) ধারায় এফআইআর দায়ের করে।