পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব (১১ জুন রাত ২টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত) পৌঁছেছেন ৭৯ হাজার ৫৫৯ জন হজযাত্রী। মোট ২০১টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২৯৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ৭৪ হাজার ২৬২ জন।
মঙ্গলবার হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ে তথ্যমতে, বুধবার (১২ জুন) শেষ হচ্ছে চলতি বছরের শেষ ফ্লাইট। আজ ও আগামীকাল এই দুইদিনে বাকি ৫ হাজার ৬৯৩ জন হজযাত্রী সৌদিতে যাবে। এই দুইদিনে বিমান বাংলাদেশ, সৌদিয়া এয়ারলাইন্স এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের সিডিউল করা ১৩টি ফ্লাইট রয়েছে। এরমধ্যে সকাল ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত একটি ফ্লাইট সৌদিতে পৌঁছেছে। আর সাতটি ফ্লাইট আজ সৌদিতে যাওয়ার কথা রয়েছে। আগামীকাল পাচঁটি ফ্লাইটের মধ্যে দিয়ে শেষ হচ্ছে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট।
হেল্পডেস্কে তথ্যমতে, এ পর্যন্ত মোট ২০১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১০৫টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ৬৮টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট ফ্লাইটের ৯৪ দশমিক ৯ শতাংশ, আর মোট হজযাত্রীদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ সৌদি পৌঁছেছেন।
এদিকে হজ পালন করেতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১৫ জন মারা গেছেন। সর্বশেষ ১০ জুন দুইজন মারা গেছেন। মারা যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও একজন নারী। চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গত ১৫ মে মো. আসাদুজ্জামান নামে এক হজযাত্রী মারা যান।
এর আগে, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। হজের শেষ ফ্লাইট যাবে ১২ জুন।
এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ২৫২ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ৫৬২ জন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৮০ হাজার ৬৯৫ জন। প্রতি প্রতি ৪৪ জনে একজন করে গাইড হিসেবে ১ হাজার ৮৯৯ জন হজযাত্রীদের সঙ্গে যাবেন। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।
সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জুন, আর পবিত্র হজ পালিত হবে ১৫ জুন।