হত্যা করে স্ত্রীকে ২০০টিরও বেশি টুকরা করে সেগুলো সংরক্ষণ করে রাখা হয় রান্নাঘরে। পরে বন্ধুর সাহায্যে ফেলে দেওয়া হয়। সম্প্রতি নিজেই খুনের কথা স্বীকার করে এ লোমহর্ষক বর্ণনা দেন নিকোলাস মেটসন নামে যুক্তরাজ্যের এক অধিবাসী।
গতবছর (২০২৩) মার্চে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ ছিল নিকোলাস মেটসনের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক এই খুনের ঘটনা সাড়া ফেলেছে বিশ্ব জুড়ে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বল হয়, স্ত্রীকে হত্যা করার পরে মেটসন গুগলে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর সার্চ করেন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে— ‘আমার স্ত্রী মারা গেলে আমি কী সুবিধা পাব?’, ‘মৃত্যুর পরে কেউ কি আমাকে হন্ট করতে পারে?’
স্ত্রীকে হত্যার পর মেটসন তার বন্ধু জোসুয়া হ্যানকককে পঞ্চাশ পাউন্ড দিয়ে দেহের টুকরা ফেলে দিতে বলেন বলে জানা যায়।
ঘটনার পর দম্পতির বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েই প্রথম সন্দেহ হয় বাড়ির অবস্থা দেখে। পুলিশ সদস্যরা ফ্ল্যাটটিতে অ্যামোনিয়া এবং ব্লিচের তীব্র গন্ধ পেয়েছিলেন। তারা বাথটাবে রক্তে ভেজা চাদর এবং মেঝেতে কালো দাগও খুঁজে পান। পরে মৃতের সঙ্গে মিলে যায় সেই রক্তের নমুনা।