‘স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্থাপনের আগে অস্ত্র সমর্পণ নয়’

যতদিন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত না হবে— ততদিন অস্ত্র সমর্পণ থেকে বিরত থাকবে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। রোববার এক বিবৃতিতে এ ইস্যুতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে গোষ্ঠীটি।

“আমাদের সংগ্রাম ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য। যতদিন পর্যন্ত স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হবে এবং জেরুজালেমকে তার রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা না হবে— ততদিন আমাদের সশস্ত্র সংগ্রাম চলবে”, বিবৃতিতে বলেছে হামাস।

১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ও ইসরায়েলের বিলুপ্তির জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে হামাস। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালানোও সেই তৎপরতারই অংশ ছিল।

৭ অক্টোবরের সেই হামলার পর গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। অভিযানে ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

গত বেশ কিছুদিন ধরে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ করে গাজার ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার দাবি উঠেছে। ৩০ জুলাই এই দাবি সম্বলিত একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে সৌদি আরব, মিসর, কাতারসহ আরব বিশ্বের ১৭টি দেশ।

৭ পৃষ্ঠার সেই চিঠিতে বলা হয়েছিল, “গাজায় যুদ্ধ অবসান এবং একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের স্বার্থে হামাসকে অবশ্যই  তাদের শাসনের অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের সমর্থনপুষ্ট ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পশ্চিম তীরে ক্ষমতাসীন সরকার) কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে।”

তবে এই চিঠি দেওয়ার পর কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি হামাসের পক্ষ থেকে।

সম্প্রতি ইসরায়েল সফরে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবে শনিবার ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার শিকার ও জিম্মিদের স্বজনদের এক সভায় উইটকফ বলেন, “বেশ কয়েকটি আরব রাষ্ট্র হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে এবং হামাস সেই আহ্বানে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।”

উইটকফের এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর এই বিবৃতি দেয় হামাস।

সূত্র : বিবিসি