পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, বুধবার রাতের আঁধারে ভারতের ৭৫ থেকে ৮০টি যুদ্ধবিমান পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের বেসামরিক এলাকা ও মসজিদ লক্ষ্য করে ভারতীয় বাহিনী এই হামলা করেছে।
সংসদে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে পাকিস্তানের এই উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে। তিনি ভারতের হামলার ঘটনাকে ‘‘ঘৃণ্য কাজ’’ বলে অভিহিত করে এর নিন্দা জানিয়েছেন।
ইসহাক দার বলেছেন, পাকিস্তান সংযমের চর্চা করেছে এবং কেবল আক্রমণে জড়িত বিমানের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী গুলি চালিয়ে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও দু’টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘যদি পাকিস্তানের বিমান বাহিনীকে হামলা শুরু করার জন্য পূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হতো, তাহলে এই সংঘাতের ফলাফল উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা হতো।’’
জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার দুই সপ্তাহ পর বুধবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। এই হামলায় ভারতীয় সামরিক বাহিনী মাত্র ২৫ মিনিটে অন্তত ২৪ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পাকিস্তানে। এতে পাকিস্তানে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারত।
যদিও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বলেছে, ভারতের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। অন্যদিকে, কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে অন্তত ১৫ জন নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতীয় অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তবে ভারতীয় কর্মকর্তারা জম্মু-কাশ্মিরে এখন পর্যন্ত তিনটি ভারতীয় বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।
হামলা-পাল্টা হামলা নিয়ে উভয় দেশের মাঝে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠকে ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।