হামলা নয়, দুর্ঘটনার কবলে শ্যামলী পরিবহনের বাস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড এলাকায় ত্রিপুরা থেকে কলকাতাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে হামলা হয়েছে বলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের একটি সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদে বলা হয়েছে, একটি পণ্যবোঝাই ট্রাক বিশ্বরোডে ইচ্ছাকৃতভাবে বাসটিকে চাপা দেয়।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ভিন্ন ঘটনা। শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা পথে চলাচলকারি শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ওভারটেকজনিত কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় অটোরিকশার চালক সামান্য আহত হন। তবে বাসের যাত্রীরা অক্ষত আছেন।

বাসটির চালক সূত্রে জানা যায়, বাসটি বেলা ১১টার দিকে আগরতলা থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। দুপুর ১২টার দিকে বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুহিলপুর এলাকায় আসার পর একটি ট্রাক ওভারটেক করতে চায়। এ সময় বাসটি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে থামানোর চেষ্টা করে ও সড়কের একপাশে সরে পড়ে। এ সময় পেছনে থাকা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বাসে ধাক্কা দেয়। অটোরিকশাটি বাসে আটকে যায়। সামান্য ব্যথা পান অটোরিকশার চালক। পরে একটি রেকার এসে বাস থেকে অটোরিকশাটিকে সরিয়ে দেয়। প্রায় দেড় ঘণ্ট পর বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বাসটিতে ভারতীয়সহ ২৬ জন যাত্রী ছিলেন। সন্ধ্যা ৭টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় বাসটি ঢাকার কাছাকাছি ছিল।

বাসের চালক মো. আসাদুল হক বলেন, একটি ট্রাক ওভারটেক করতে গেলে আমি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে যাই। এ সময় পেছনে থাকা একটি অটোরিকশার বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে অটোরিকশাটি বাসের পেছনে আটকে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে নেমে একটি রেকার আনার ব্যবস্থা করে অটোরিকশাকে সড়িয়ে নিই। বিষয়টি হাইওয়ে থানা পুলিশকেও অবহিত করা হয়। পুলিশ আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপত্র দেখে চলে যেতে বলে। দুর্ঘটনায় বাসের কোনো ক্ষতি হয়নি কিংবা যাত্রীরা আঘাত পাননি।

খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারগুব তৌহিদ এ প্রতিবেদককে বলেন, তেমন বড় ধরনের কিছু হয়নি। দুর্ঘটনায় অটোরিকশাচালক সামান্য আহত হন। বাসের চালক ও অটোরিকশা চালকের মধ্যে সমঝোতা করে যে যার মতো চলে গেছেন।