লেবাননের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যাবতীয় বিরোধ কূটনৈতিক পন্থায় মিটিয়ে নিতে প্রস্তুত আছে ইসরায়েল। তবে যদি সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে সামরিকভাবেই হিজবুল্লাহকে মোকাবিলা করবে বিশ্বের এই একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্রটি।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের শীর্ষ উপদেষ্টা অ্যামোস হোচস্টেইনের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘লেবাননের হিজবুল্লাহ’র সঙ্গে আমরা যাবতীয় বিরোধ কূটনৈতিক পন্থায় মিমাংসা করতে আমরা প্রস্তুত আছি। কিন্তু যদি তা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে বিকল্প পন্থা অবলম্বন করতেও আমরা প্রস্তুত।’
‘আমাদের মূল চাওয়া হলো ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত এলাকায় শান্তি স্থাপন এবং ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে— এমন যাবতীয় শঙ্কার মূলোৎপাটন,’ বৈঠকে বলেন গ্যালান্ত।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে ধরেও নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা।
অভূতপূর্ব সেই হামলার পর সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। চার মাস ধরে চলমান সেই অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৬৭ হাজার। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর গোলায় বাড়িঘর হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন আরও লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর কয়েক দিন পর থেকে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত এলাকায় রকেট ও ড্রোন হামলা শুরু করে ইসরায়েল। জবাবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীও পাল্টা হামলা অব্যাহত রাখে। গত প্রায় চার মাসে এসব হামলা-পাল্টা হামলায় উভয়পক্ষের শতাধিক সেনা নিহত হয়েছেন।
বস্তুত, হিজবুল্লাহ বিশ্বের বৃহত্তম ইসলামি সশস্ত্র গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীটি লেবাননভিত্তিক হলেও লেবাননের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সরাসরি কখনও অংশ নেয় না।
শিয়াপন্থী মুসলিম হওয়ায় ইরানের সঙ্গে হিজবুল্লাহর সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ট।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি