হেডের উদযাপন নিয়ে ভারতে তীব্র সমালোচনা, নেপথ্যে যে কাহিনি

ঋষভ পান্তকে আউট করে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের পথ অনেকটাই সহজ করে ফেলেছিলেন ট্রাভিস হেড। যদিও তখন ভারতের হাতে আরও ৬ উইকেট বাকি, তবে জয়টা বেশ (২১৯ রান) দূরেই ছিল। ম্যাচটি হারের পর অন্য অনেক বিষয়ের পাশাপাশি আলোচনায় হেডের একটি উদযাপন। যাকে ভারতীয়রা ‘অশ্লীল’ উল্লেখ করে এই অজি অলরাউন্ডারের শাস্তি চেয়েছে। তবে হেড এবং প্যাট কামিন্স এর ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

গতকাল (সোমবার) মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার ৩৪০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ভারত ১৫৫ রানেই গুটিয়ে যায়। ১৮৪ রানের বড় জয়ে চার টেস্ট শেষে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচে পান্ত আউট হন দলীয় ১২১ রানে, এরপর আর ৩৪ রান যোগ করতেই বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে সফরকারীদের ইনিংস গুটিয়ে যায়। যশস্বী জয়সওয়াল ৮৪ এবং পান্তের ৩০ রান বাদে দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি আর কোনো ভারতীয় ব্যাটার।

পান্তকে অফস্পিনে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ আউট করার পর এক হাত মুঠো করে আরেক হাতে আঙুল ঢুকিয়ে চামচ নাড়ানোর ভঙ্গি করেন ট্রাভিস হেড। তার সেই উদযাপনের ভিডিও অনলাইনে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। যার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হেড জানিয়েছেন, ‘উদযাপনের মানে হচ্ছে– উত্তপ্ত আঙুল বরফভর্তি গ্লাসে রাখা। আমি এমনটা প্রথম করেছি ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার দিন। আমি আমার আঙুল বরফে রেখে আরেকটি উইকেট নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছি– ব্যাপারটা এমন। এর বাইরে নেতিবাচক কোনো মানসিকতা ছিল না।’

সতীর্থের সমর্থনে একই ব্যাখ্যা দিয়েছেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও, ‘তার যখন আঙুলে গরম অনুভূত হয়, তখন সে বরফের কাপে আঙুল ডুবিয়ে রাখে। উদযাপনেও সেটাই করেছে। এটাই তার ক্ষেত্রে প্রচলিত কৌতুক। সেটি হোক গ্যাবা (ব্রিসবেন) কিংবা অন্য কোনো ভেন্যুতে। যখন সে উইকেট পায়, সোজা ফ্রিজের কাছে চলে যায়, এরপর বরফের টুকরো বের করে তাতে একটি আঙুল ভেজায়।’

তবে বিষয়টি সহজভাবে নেননি ভারতীয় সমর্থকরা। একই দলে আছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার নভজোৎ সিং সিধু। হেডের শাস্তি দাবি করে তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) লেখেন, ‘ট্রাভিস হেড মেলবোর্নে যেটা করেছে সেটা ক্রিকেটের জন্য ভালো নয়…নারী, শিশু ও বৃদ্ধ সবাই খেলাটা দেখছে, এটা তাদের জন্য খুবই খারাপ একটা উদাহরণ। এটা শুধু কোনো ব্যক্তির অপমান নয়, ১৫০ কোটি ভারতীয়’র অপমান। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজন রয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এরকম আচরণ করার সাহস না পায়।’

প্রসঙ্গত, বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের আরেকটি ম্যাচ বাকি। সিডনিতে আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে পঞ্চম ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া।