মেটার মালিকানাধীন জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। বর্তমানে অফিসিয়াল থেকে পারিবারিক প্রয়োজনে এর ব্যবহার প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে জালিয়াতি বাড়ছে। একের পর এক প্রতারণার খবর সামনে আসছে। সম্প্রতি ভারতের মুম্বাইয়ে একটি প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ভুয়ো ইনভেস্টমেন্ট অ্যাপের ফাঁদে ফেলে একজনের থেকে ৯০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, মুম্বাইয়ের বাসিন্দাকে প্রথমে প্রতারণা চক্রটি বিদেশি এক্সপার্টদের একটি ভুয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করেন। এই গ্রুপে কম সময়ে বেশি মুনাফা অর্জনের জন্য গ্রুপ মেম্বারদের ইনভেস্টমেন্ট টিপস দেওয়া হত।
এরপর প্রতারিত এই ভুয়া গ্রুপের নাম এবং এতে দেওয়া তথ্য দেখে আকৃষ্ট হন এবং বিনিয়োগে রাজি হন। এরপর জালিয়াতরা তাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে প্ররোচিত করতে শুরু করে এবং ব্যবহারকারীকে প্লে স্টোর থেকে একটি মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করতেও বলা হয়। অ্যাপটি ডাউনলোড করার পর প্রতারণা চক্রটি ওই ব্যক্তিকে কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯০ লাখ টাকা জমা দিতে বলে।ভুক্তভোগী ব্যক্তির আস্থা অর্জন করতে চক্রটি তাকে শুরুতে ১৫ কোটি টাকা আয়ের ভুয়ো তথ্য দেখায়। কিছুদিন পরে সেই টাকা ট্রান্সফার করতে গিয়ে সে ব্যক্তি বুঝতে পারেন তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। প্রতারকরা তার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেয় এবং লাভের ১০% ভাগ বা প্রায় ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা দাবি করে। এরপর প্রতারিত পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।হোয়াটসঅ্যাপে ইনভেস্টমেন্ট প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে যা করতে পারেন:
১.বিনিয়োগ স্কিমগুলিকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না এবং অজানা নম্বর থেকে প্রাপ্ত মেসেজকে যাচাই করবেন। ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানিগুলো এভাবে ভুয়া মেসেজ পাঠিয়ে ইনভেস্ট করতে বলে না।
২.বিনিয়োগ সংক্রান্ত যেকোনো কথোপকথন শুরু করার আগে মেসেজ প্রেরকের পরিচয় যাচাই করে নিন। রেজিস্টার্ড কোম্পানির হলে আপনি অ্যাকাউন্টে একটি নীল চেকমার্ক দেখতে পাবেন।
৩.যদি আপনাকে কোনও মেসেজ পাঠিয়ে বা কল করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিনিয়োগের জন্য প্ররোচিত করা হয়, তবে অবিলম্বে সতর্ক হন। এছাড়াও যদি কেউ আপনাকে ভাল রিটার্নের নিশ্চয়তা দেয় তবে আপনি অতি সহজে বিশ্বাস করবেন না।