অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) মাধ্যমে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ব্যবসা সহজীকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে আগামী ২০২৪-২৫ থেকে ২০২৬-২৭ অর্থবছর পর্যন্ত সময়ে ১১০টি সংস্কার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো দেশে শিল্পায়ন ও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য কাঙ্ক্ষিত অনুকূল ও সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর ইতোমধ্যে যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা। প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সহায়ক অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পদ সঞ্চালনের পরিকল্পনা করেছি। এসব উদ্যোগের ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগামী অর্থবছরে ৬.৭৫ শতাংশে এবং মধ্যমেয়াদে ৭.২৫ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আমরা আশা রাখছি।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ ডিসেম্বর ২০২২ সালে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছিলেন। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজব্যবস্থা এ চারটি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ স্থাপিত হবে তাতে মাথাপিছু আয় হবে কমপক্ষে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার, চরম দারিদ্র্য নেমে আসবে শূন্যের কোঠায় এবং দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকবে ৩ শতাংশেরও কম মানুষ। এ লক্ষ্যে উৎপাদনশীলতা ও আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি দারিদ্র্যের হার কমানোর ওপর আমরা সবসময় বিশেষ জোর দিচ্ছি।
অপরদিকে, জাতীয় সংসদে সরকারের আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য অর্থ বিল পাস হয়েছে। স্পিকারের আহ্বানে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বিলটি উত্থাপন করেন এবং পরে কণ্ঠভোটে এ বিল পাস হয়। অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। এ দিন বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জি এম কাদের।