১৭ বছরের নির্যাতনের বিবরণ দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন বিএনপি নেতা

Oplus_131072

মোহাম্মদ আলী : ইউনিয়ন বিএনপির ছোট্ট একটি পদ সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক। এই পদে থেকেও ১৪টি মামলার আসামি হতে হয়েছে। ২বার জেলে যেতে হয়েছে। মামলা চালাতে গিয়ে বাবার বিঘায় বিঘায় জমি বিক্রি করতে হয়েছে। এছাড়া হামলা শিকার হতে হয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে তাকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। বাড়ি ঘর ও পরিবারের উপর হামলা করা হয়েছে। কেড়ে নেওয়া হয়েছে আবাদি জমি। আওয়ামী লীগের ১৭ বছরের দুঃশাসনের বেশিরভাগ সময় তাকে পালিয়ে থাকতে হয়েছে। ঘর সংসারের খবর নিতে পারেননি!
এতো অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেও তিনি বিএনপি ছাড়েননি। ধরে রেখেছেন । ভয় বা লোভ লালসার শিকার হয়ে দলবল করেননি। নানা সুযোগ সুবিধার প্রলোভন পেয়েও আওয়ামী লীগে যোগ দেননি।
১৭ বছরে নিজের উপর দুঃশাসনের বিবরণ দিতে গিয়ে উপরের কথাগুলো বলেছেন, ইসলামপুর কলেজের সাবেক ভিপি, মেলান্দহ উপজেলাধীন দুরমুঠ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, মোঃ আক্তারুজ্জামান বাদল। এসময় তিনি আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। ৪০ বছরের রাজনৈতিক সমীকরণ মিলাতে গিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
তার সম্পর্কে ইউনিয়ন বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ জানান, বাদল যখন ৮৬ সালে ছাত্রনেতা তখন এই এলাকায় কেউ রাজনীতি করে না। সেই সময় থেকে রাজনীতিতে আসা বাদলের আজোবধি কোনো উন্নতি হয়নি। বরং রাজনীতি করতে গিয়ে বাবার জমিজমা বিক্রি করে শেষ করতে হয়েছে। পক্ষান্তরে তার পরে রাজনীতিতে এসে অনেকে রাতারাতি বড়লোক হয়েছে। আঙুল ফুলে কলাগাছ বনেগেছে কেউ কেউ। পদ পদবী নিয়ে নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। অথচ তিনি শূন্যের কোঠায়!
নিজের ব্যাপারে দুরমুঠ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, মোঃ আক্তারুজ্জামান বাদল বলেন, কি পেয়েছি, কি হারিয়েছি তার আর হিসাব মিলাতে চাই না। বাকী জীবনে এইটুকু অত্যান্ত কামাতে চাই আমি মরে গেলে মানুষ যেন বলে বাদল মানুষ ছিল। সে কারো ক্ষতি করে নাই!