মোহাম্মদ আলী : মসজিদের নাম শাহী মসজিদ। আছেন ইমাম মুয়াজ্জিন। নামাযও হয় ৫ ওয়াক্ত। জুমআ তারাবি সবই হয়। কিন্তু, মসজিদ দেখে মনে হয় রাজা বাদশাহ তো দূরের কথা প্রজারাও এখানে নামায পড়েন না। টিনের চাল টিনের বেড়ায় মোড়ানো জরাজীর্ণ, ভাঙ্গাচুরা ছোট্ট মসজিদ। দেখলেই বুঝা যায় যুগ যুগ ধরে এখানে কোনো উন্নয়ন বা সংস্কারের ছুয়া লাগেনি। রাষ্ট্র বা সমাজপতিদের সুনজর পড়েনি মসজিদের গায়!
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, জামালপুর টু ইসলামপুর প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত মেলান্দহ উপজেলার চরহাতিজা গ্রামের শাহী মসজিদ টি ১৯৯৭ সালে তৈরি হয়। ক্রয়কৃত ৬ শতাংশ জমির উপর মসজিদটি তৈরি করেন স্থানীয় ইউনুস হাজি। তারপর প্রায় আড়াই যুগ অতিবাহিত হলেও আজও মসজিদটির কোনো উন্নয়ন হয়নি! সেভাবেই আছে। আগে যেমন ছিল।
এযুগেও মসজিদটির এমন দুরাবস্থা কেন?
প্রশ্নের জবাবে শাহী মসজিদের দাতা ও সভাপতি. আলহাজ্ব মোঃ ইউনুস আলী বলেন, চরহাতিজার মানুষগুলো গরীব। দান করার মতো সামর্থ নেই। আর সরকারি সাহায্যের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে বার বার গিয়েছি। তারা আশ্বাস দিলেও কোনো সাহায্য দেননি। কারণ আমি অপজিশন দলের রাজনীতি সমর্থন করতাম। তাই তৈরির পর আজবধি কোনো কোনো উন্নয়ন হয়নি! এব্যাপারে এলাকাবাসী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মসজিদ মন্দির সমাজের বা রাষ্ট্রের সম্পদ। এখানেও আজকাল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চলে। স্রষ্টার ইবাদতের উপসানালয়গুলোও আজ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার!