নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন নারায়গণঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে ২৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ভূমিহীন গণ-জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ এ্যাড. হাসনাত কাইয়ুম। প্রধান আলোচক উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সেখ নাছির উদ্দিন, বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমন, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন নারায়গণঞ্জ জেলা শাখার সদস্য সচিব মোঃ রফিক আহমেদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য সোহেল শিকদার। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছামিউল আলম রাসু। বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন নারায়গণঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক মোঃ জিয়াউর ইসলাম সুমনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত মোছাঃ মনোয়ারা, মোরশেদা খাতুন, কুলসুম বেগম, জোসনা আক্তার, আসমা আক্তার, দৌলতন্নাহার প্রমুখ।
গণজমায়েত শেষে ৬ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর দাখিল করা হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সারাদেশের ভূমিহীনদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে আসছে। বিগত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের সময় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ভূমিদস্যুদের দ্বারা ভূমিহীনরা হামলা-মামলা-হত্যা-নির্যাতন সহ সীমাহীন অত্যাচারের মুখোমুখি হয়েছে। ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার এক ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রের দায়িত্ব নেয়ায় সারাদেশের লাখো ভূমিহীন পরিবার নতুন করে আশার আলো দেখতে পাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ জেলায় হাজারো ভূমিহীন অসহায় ছিন্নমূল মানুষের বসবাস। তারা রাষ্ট্রে সকল মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এমতাবস্থায় আপনার সুবিবেচনার জন্য বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন পক্ষ থেকে ৬টি সুর্নিদিষ্ট দাবি পেশ করছি-
১) ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে খাস জমি উদ্ধার করে ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দিতে হবে।
২) নারায়ণগঞ্জ জেলায় দুর্নীতি-লুটপাটের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
৩) নারায়ণগঞ্জ জেলার ভূমিহীনদের কর্মসংস্থানের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে।
৪) নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল ভূমিহীন অসহায় ছিন্নমূল গরীব মানুষের জন্য টিসিবির কার্ড বরাদ্দ করতে হবে।
৫) সরকারে ভূমিহীনদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য সংবিধান সংস্কার করতে হবে।
৬) সংবিধান সংস্কার সভা এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসাথে করতে হবে।