হেড টু হেড হিসাবে বাংলাদেশ ভুটানের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে। ১৪ লড়াইয়ে বাংলাদেশের জয় ১১, সেখানে ভুটানের মাত্র ১ টি আর ড্র ২ টি। ভুটানের কাছে বাংলাদেশের এক হারই বড় সংকটে ফেলেছিল দলকে।
২০১৬ সালে থিম্পুতে বাংলাদেশ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্লে অফ ম্যাচ খেলেছিল। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ৩-১ গোলে হেরে দেড় বছর প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে বাইরে ছিল। তখনই ফিফা র্যাংকিংয়ে অনেক পিছিয়ে যায়।
সেই ভুটান ম্যাচে বাংলাদেশের কোচ ছিলেন বেলজিয়ামের টম সেইন্টফিট। তিনি গুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচে জামাল ভূইয়াকে দলে নেননি। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অনেক সমালোচনা হলেও তিনি অনড় ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে দৃঢ়তা থাকলেও মাঠের কৌশলে অবশ্য পরাস্ত হয়েছিলেন।
সেই বিপর্যয়ের পর বাংলাদেশ আরো কয়েকবার ভুটানের মুখোমুখি হয়েছে। সেই ম্যাচগুলো জিতলেও থিম্পুতে গিয়ে আর খেলা হয়নি। ৮ বছর পর থিম্পুতে বাংলাদেশ সিনিয়র দল আবার খেলছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূইয়া প্রথম বারের মতো এখানে খেলবেন।
বাংলাদেশ অধিনায়ক ২০১৬ সালের দলে না থাকলেও সেই দুঃস্মৃতি জানেন। তাই কাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘তাদের দলে চেনচো আছে, যাকে আটকানো কঠিন। সে বাংলাদেশেও খেলেছে। তবে তাদের দলে চেনচো ছাড়াও আরও কয়েকজন খেলোয়াড় আছে, যারা দারুণ। এই খেলোয়াড়দের দিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে।’
বাংলাদেশ এখন কাগজে কলমে এগিয়ে থাকলেও ফিটনেস নিয়ে চিন্তিত। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেছেন জামাল, ‘আমাদের আরও বেশি ম্যাচ ফিটনেস প্রয়োজন, কিন্তু আমরা ভালো ক্যাম্প করেছি, ভালো প্র্যাকটিস সেশন করেছি। আমরা তিন মাস কোনও ম্যাচ খেলি না। আমরা ক্যাম্প করেছি, কিন্তু ভুটানের খেলোয়াড়দের মতো একই পর্যায়ে নেই। আমার ধারণা দুটি ম্যাচ কঠিন ও দারুণ হবে।’
বাংলাদেশের স্পেনিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা অবশ্য আশাবাদী দুটো ম্যাচই জয়ের জন্য। তিনি বলেন, ‘আমরা দুটো ম্যাচ জয়ের জন্য এসেছি। তবে আমাদের আগামী বছরের প্রতিযোগিতাগুলোর জন্য সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বরের উইন্ডো গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, অফিসিয়াল টুর্নামেন্টগুলোই আসল, যেগুলো আগামী মার্চে শুরু হবে এবং এ কারণে ভুটানের বিপক্ষে এই ম্যাচগুলোসহ বাকি দুই উইন্ডোকে প্রাধান্য দিচ্ছি। যেন আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারি।’
৫ ও ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ টায় ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে।