মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে মহাপরিচালক পদে মহিলার পরিবর্তে একজন অভিজ্ঞ আলেমকে নিয়োগ দানের দাবী

ইসলামি শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের সভাপতি ড. এ.কে.এম মাহবুবুর রহমান ও মহাসচিব উপাধ্যক্ষ মো: আবদুর রহমান এক বিবৃতিতে মাদরাসা অধিদপ্তরে একজন নারীকে মহা—পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দানের তীব্র
প্রতিবাদ জানান। নেতৃদ্বয় বলেন – মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে সম্মানিত মহাপরিচালক হিসেবে যিনি নিয়োগ পেয়েছেন তিনি অত্যন্ত যোগ্য, সৎ,অভিজ্ঞ ও শালীন কর্মকর্তা। তার ব্যক্তিগত বিষয়ে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু যে দপ্তরে প্রতিদিন আলেম—ওলামা, পীর—মাশায়েখ, দোয়াগীর, খতীব, ওয়ায়েজের আগমন হয়। দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমগণ যে দপ্তরে মাদরাসার প্রয়োজনেই আসতে হয় সে দপ্তরের সর্বোচ্চ পদে একজন দক্ষ আলেম, যোগ্য কর্মকর্তা নিয়োগ করাই যুক্তিযুক্ত। মন্ত্রণালয়ে অফিসিয়াল কাজের জন্য আলেমগণের ততটা যেতে হয় না। কিন্তু অধিদপ্তরে আলেমগণকে যেতেই হয়। এতে বিনা কারণে অযৌক্তিকভাবে প্রতিমূহুর্তে একজন ভদ্র মহিলার সাথে আলোচনা ও সাক্ষাৎ শরীয়ত ও বাস্তবতার আলোকে বেমানান। এ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার পর বিগত সরকারসমূহ সর্বোচ্চ পদে মহিলা নিয়োগ করেননি। আমরা আশা করব আলেম ওলামাদের আন্দোলনের ফসল মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে একজন যোগ্য আলেমকে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ সরকার করে দেবেন। নারীজাতি আমাদের মায়ের জাতি। যাদের পায়ের নীচে আমাদের বেহেশত। কিন্তু যতটুকু সম্ভব গুনাহ থেকে মুক্ত থাকাই বাঞ্চনীয়। নারীদের বিরুদ্ধে আমাদের কথা নয়। আমাদের আপত্তি হল – প্রশাসন এসব বিষয়ে বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নিলে সমগ্র দেশের আলেম সমাজ ও নব্বই ভাগ মুসলমান খুশি হবেন এবং গুনাহ থেকে মুক্তি পাবেন। আমরা লক্ষ্য করছি বাংলাদেশে একমাত্র মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বর্তমানে আলেম শূন্য। চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও পরিদর্শক পদে আলেমদের নিয়োগ পাওয়া যুক্তিযুক্ত কিন্তু তাতে আলেম
সমাজের স্থান নেই। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে সকল পদে মাদরাসা শিক্ষিতদের অগ্রাধিকার সকলের প্রত্যাশা কিন্তু এক্ষেত্রেও মাদরাসা শিক্ষিতগণ বঞ্চিত। বি এম টিটি আই এর সকল পদে মাদরাসা শিক্ষিতদের দায়িত্ব পাওয়া যুক্তিযুক্ত কিন্তু সেখানেও অল্প কিছু পদে মাদরাসা শিক্ষিতগণ থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মাদরাসা শিক্ষিতরা নেই। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এদেশের আলেম সমাজের একশত বছরের আন্দোলনের ফসল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ পদে আলেম নেই। এন সি টিবিতে ইসলামি শিক্ষার তেরটি পদ থাকলেও দীর্ঘদিন আলেমশূন্য ছিল। বর্তমানে একজন মাত্র কর্মরত আছেন। অনতিবিলম্বে ইসলামি শিক্ষার পদসমূহ পূরন করে
পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তকে ইসলামি শিক্ষার অবস্থান সূদৃঢ় করার প্রয়োজন।