নামেই কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট লিগ। তবে মূল ব্যবসা আর অর্থ ভারতের। আর তাদেরই চাপে বেহাল দশায় দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে অংশ নিতে আনকোরা এক দল পাঠাচ্ছে প্রোটিয়ারা। যে দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারই খেলেছেন মোটে ১৫ ম্যাচ। অধিনায়ক নিল ব্র্যান্ডের তো অভিষেকই হয়নি।
অথচ, জাতীয় দলের চেয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেটকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে ক্রিকেট বোর্ডের রোষানলে পড়েছেন আফগানিস্তানের নাভিন উল হক, ফজল হক ফারুকী আর মুজিব-উর-রহমান। আগামী ২ বছর সবরকম ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেটের দরজাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আবার টেস্ট দলের অংশ থাকায় শরিফুল ইসলাম এবং তাসকিন আহমেদকে আইপিএলের মিনি নিলাম থেকে সরিয়ে নিয়েছিল বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়াতেও একই অবস্থা। দলের হয়ে খেলার তাগিদে বিগ ব্যাশের আসর থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছেন তারকারা। তবে এসবের চেয়ে ভিন্ন পথে হাঁটছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এসএ টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের কারণে আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরে মূল দল পাঠাচ্ছে না তারা। ঘরোয়া এ টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার কারণে কিউইদের বিপক্ষে পাওয়া যাবে না টেম্বা বাভুমা, এইডেন মার্করাম, মার্কো জানসেন, জেরাল্ড কোয়েটজে, কেশভ মহারাজ, লুঙ্গি এনগিদি ও কাগিসো রাবাদাদের।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার এমন অবস্থার পেছনে ভারতকেই দায়ী করছেন অনেকেই। এসএ টি-২০ এর সব দলেরই মালিকানায় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান। আরও স্পষ্ট করে বললে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজই দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া লিগে দল গঠন করে রেখেছে। আর দর্শকদের আগ্রহ ধরে রাখতে এই লিগেই খেলোয়াড়দের আটকে রাখতে চাইছে তারা, এমন অভিযোগও এসেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার লিগে অংশ নেওয়া ছয় দলের সবকটিই মূলত ভারত বা আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজের অধীনে। ডারবান সুপার জায়ান্টসের মালিকানায় আরপিএসজি গ্রুপ। ভারতে তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজ লখনৌ সুপার জায়ান্টস। জোবার্গ সুপার কিংসের মালিকানায় ইন্ডিয়া সিমেন্টস। যারা আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে যুক্ত।
বাকি দলগুলোতেও নাম দেখলেই বোঝা যায় আইপিএলের সঙ্গে সম্পর্ক। এমআই কেপটাউন (মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ফ্র্যাঞ্চাইজ) পার্ল রয়্যালস (রাজস্থান রয়্যালস ফ্র্যাঞ্চাইজ) প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালস (দিল্লি ক্যাপিটালস), সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপ (সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ)।
এসএ টি-টোয়েন্টি শুরু হবে ১০ জানুয়ারি। আর এর পর্দা নামবে একমাস পর। ১০ ফেব্রুয়ারি। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হবে ৪ ফেব্রুয়ারি। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত এই দুই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অভিষেক হবে ৭জন নতুন ক্রিকেটারের। এই নিয়ে বেশ ক্ষোভই প্রকাশ করেছেন সাবেক অজি গ্রেট স্টিভ ওয়াহ। অভিযোগ এনেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট ক্রিকেটকেই হত্যা করছে।
জেএ