সুনামগঞ্জ-৫ আসনের দোয়ারাবাজারে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পূর্ব ও পশ্চিম মাছিমপুরবাসীর নৌকা ও ঈগল সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের পাশের গ্রাম পূর্ব মাছিমপুর ও পশ্চিম মাছিমপুরবাসীর নৌকা ও ঈগল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরে আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পূর্ব মাছিমপুর ও নৈনগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাতে পূর্ব মাছিমপুরের আমরু মিয়ার ছেলে ঈগল প্রতীকের সমর্থক শামীম আহমদের সঙ্গে পাশের নৈনগাঁও গ্রামের নৌকার সমর্থক আবুল হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে আবুল হোসেনের সমর্থকরা শামীম আহমদের পূর্ব মাছিমপুরের বাড়িতে ইটপাটকেল ছুড়ে। পুলিশ রাতে পরিস্থিতি শান্ত করে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়। আজ সকালে আবুল হোসেনের দোয়ারাবাজারের বাসভবনে এসে শামীম আহমদের লোকজন হামলা করে। এই ঘটনার খবর নৈনগাঁও গ্রামে পৌঁছালে আবুল হোসেনের পক্ষের নৈনগাঁও গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উপজেলা সদরে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ একপর্যায়ে নৈনগাঁও ও পূর্ব মাছিমপুর গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের শতাধিক লোক আহত হন। আহতদের সিলেট ও সুনামগঞ্জে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ বলেন, নির্বাচনী সহিংসতার জেরে আজ দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে রাবার বুলেট ছুড়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক এবং দোয়ারাবাজার উপজেলা) আসনে পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুহিবুর রহমান মানিক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শামিম আহমদ চৌধুরী।