মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা রাখাইন রাজ্যে বিপুল পরিমাণ সেনা পাঠিয়েছে জান্তা বাহিনী। সেখানে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে রোববার (২১ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স।
রাখাইন রাজ্যের আরকান আর্মি ও আরও দুটি সশস্ত্র দল এক হয়ে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামের একটি জোট গঠন করেছে। এই জোটের যোদ্ধারা গত অক্টোবর থেকে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানো শুরু করে। তাদের হামলার তীব্রতায় টিকতে না পেরে জান্তা বাহিনীর সেনারা অনেক জায়গা থেকে পালিয়ে যান। এরমধ্যে রাখাইন রাজ্যও ছিল। তবে গুরুত্বপূর্ণ এ রাজ্যের দখল নিতে সেখানে পুনরায় সংগঠিত হচ্ছে জান্তা বাহিনী।
ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, আরাকান আর্মির যোদ্ধারা রাখাইনে আক্রমণাত্মক অবস্থানে আছেন। আকাশ, নৌ ও স্থলপথে আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালানো হলেও; তারা জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে বিভিন্ন অঞ্চল দখলে নিয়েছেন।
জোটটি আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী চিন রাজ্যের পালেতওয়া থেকে যে ৪০০ সেনা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন; তাদের রাখাইন রাজ্যে পুনরায় মোতায়েন করা হয়েছে। রাখাইনে জান্তাবাহিনীর কাছে সাগরপথে প্রচুর পরিমাণ গোলাবারুদ ও অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের বরাতে জানিয়েছে, রাখাইনের ছয়টি শহরের দখল নিয়ে গত রোববার জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র যুদ্ধ হয়েছে। সোমবারও এ হামলা অব্যাহত ছিল।
আরাকান আর্মির যোদ্ধারা দানবতীতে নৌবাহিনীর হেডকোয়ার্টারেও হামলা চালিয়েছে। যা দেশটির নৌ স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম বড়। এই হেডকোয়ার্টারটি যেখানে অবস্থিত সেখানে চীনের একটি বৃহৎ প্রকল্পের কাজ চলছে। নৌবাহিনীর স্থাপনায় হামলার পর একটি গানবোট আশপাশের অঞ্চলে নির্বিচারভাবে গোলাবর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছে রাখাইনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
নারিঞ্জারা নামের একটি সংবাদমাধ্যম স্থানীয় মানুষের বরাতে জানিয়েছে, রাজ্যের রাজধানী সিত্তের মিনবায়া নামক একটি এলাকার চারটি ঘাঁটিতে নতুন করে ৮০০ সেনা এসেছেন।
সূত্র: ইরাবতি