ইসলামপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের ইসলামপুরে তীব্র শীতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় শীতে কাবু হয়ে দুর্দশার মধ্যে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তীব্র ঠান্ডায় স্বাভাবিক চলাফেরা বিঘ্ন ঘটছে। যমুনা, ব্রহ্মপুত্র বিধৌত উপজেলায় শীতের তীব্রতা তুলনামূলকভাবে বেশি। যমুনা চরাঞ্চলবাসীর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। চরাঞ্চলে শিশু ও বৃদ্ধদের ঠান্ডায় নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
তীব্র শীতে প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে নির্ঘুম রাত কাটে চরাঞ্চল গ্রামের দরিদ্র মানুষের। কাঠ-খড়ের জ্বালানো আগুনের উত্তাপই তাদের ভরসা। অন্যান্য বছর শীতের কম্বল ও গরম কাপড় বিতরণের খবর পাওয়া গেলেও এবার তাদের দেখা মেলেনি। হিমেল হওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছে। শীতে কাবু হয়ে পড়েছে গৃহপালিত পশুপাখিও। এদিকে ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। অনেকেই পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন বীজতলা। প্রচন্ড শীতে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে ঠান্ডাজনিত রোগে। উপজেলার বেলগাছা ইউপির মন্নিয়া গ্রামের আব্দুস ছাত্তার বলেন, তীব্র শীতে হাঁটাচলা করা যাচ্ছে না। সারাদিন খুড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। চিনাডুলী ইউপির গিলাবাড়ী গ্রামের আইয়ুব আলী জানান, ঠান্ডায় খুব কষ্ট করে আছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, উপজেলা প্রশাসন এ পর্যন্ত সাড়ে ৭ হাজার কম্বল বিতরণ করেছেন। ধর্মমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি জানান- আমার নির্বাচনী এলাকাবাসীর জন্য কম্বলের ব্যবস্থা করেছি। দলীয়ভাবে তাহা বিতরণ করা হচ্ছে। এবারের শীতবস্ত্রের চাহিদা অনেক বেশি। তবে বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।