ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার ঘটনায় কাতারকে দায়ী করছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ কাতারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন। যদিও চলমান যুদ্ধে গাজায় বন্দি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে হামাস-ইসরায়েলের মাঝে প্রধান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে কাতার।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু চলতি সপ্তাহে জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। ওই সময় তিনি জিম্মি সংকট সমাধানে কাতারের মধ্যস্থতা ‘‘সমস্যায় জর্জরিত’’ বলে মন্তব্য করেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের কয়েক দিন পর অর্থমন্ত্রী বেজালেল কাতারের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘‘হামাসের পৃষ্ঠপোষক কাতার। ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর হামাসের সংঘটিত গণহত্যার জন্য কাতারই বহুলাংশে দায়ী।’’
কাতারের সাথে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের সরকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী। দোহার সাথে পশ্চিমাদের সম্পর্ক রক্ষার বিষয়টিকে ‘‘ভণ্ডামি’’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
বেজালেল স্মোট্রিচ বলেছেন, পশ্চিমারা এই সম্পর্কের সুবিধা নিয়ে কাতারের ওপর অনেক বেশি চাপ তৈরি এবং অবিলম্বে জিম্মিদের মুক্তি দিতে পারে। তিনি বলেন, ‘‘একটি বিষয় পরিষ্কার : যুদ্ধের পরের দিন গাজায় যা ঘটবে তাতে কাতার একটুও জড়াবে না।’’
হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে উভপক্ষের মাঝে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে কাতার এবং মিসর। গত নভেম্বরে এই দুই দেশের প্রচেষ্টায় যুদ্ধরত হামাস-ইসরায়েলের মাঝে সপ্তাহব্যাপী চুক্তি হয়। চুক্তি চলাকালীন ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ে ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস।
ইসরায়েল ও হামাসের মাঝে আরেক দফার যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাতার জোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে। এর মাঝে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যে কাতার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সূত্র: এএফপি।