রশীদুল আলম শিকদার : হিম শীতের বাতাস, উষ্ণতায় ছড়াবে পিঠাপুলির সুবাস’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেওয়ানগঞ্জের সানন্দবাড়ি বিদ্যাপীঠ মডেল স্কুলে পিঠা উৎসব ও ফ্রী চক্ষু ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারি সকাল ১১ টার দিকে শুরু হয় এ পিঠা উৎসব। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ মডেল স্কুল প্রাঙ্গণে উৎসবের আয়োজন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। দুধ পুলি, নকশী পিঠা, সেমায়ের রসবড়া, ঝিনুক পিঠা, দুধ চিতুই, তেলের পিঠা, ফুল ঝুড়ি, ছিমফুল, মেড়া পিঠা, কলা পিঠা, রসমালাই, গুড় সন্দেশ, পায়েস, জামাই পিঠা, পাপড়,দুধের বিভিন্ন জাতের পিঠা সহ প্রায় ৫০ জাতের বানানো পিঠা ৯টি স্টলের টেবিলগুলোতে সাজানো ছিল। স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বাইরের লোকজনও পিঠা উৎসবের আনন্দ উপভোগ করেন।২ শতাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও ১৫ জন শিক্ষকদের উপস্থিতিতে মিলন মেলায় পরিণত হয় এই পিঠা উৎসব।
এদিকে মেলার পাশাপাশি আয়োজন করা হয় ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা। হত দরিদ্র পরিবারের লোকজন ফ্রিতে চক্ষু চিকিৎসা নিতে আসেন অনেকেই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিনের নির্দেশনায় সকল অনুষ্ঠান চলে। শেখপাড়া থেকে আজিজুর রহমান দম্পতি এসেছেন মেয়ে সায়মা রহমান স্কুলের পিঠা উৎসবে। সায়মা সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।তার বাবা-মা এ প্রতিবেদককে বলেন এই প্রথমবার সায়মার এত আনন্দ দেখে ভালো লাগছে। এই উৎসবে আসতে পেরে সায়মা ও আমরা আমরা আনন্দিত। পড়ালেখার পাশাপাশি স্কুলের এমন আয়োজন এর প্রশংসা করে তারা বলেন,ছেলে মেয়েদের মানসিক আনন্দ দিতে এই পিঠা উৎসব একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন বলেন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় সন্তোষজনক ফলাফল হয় এই স্কুলে। আমরা স্কুলের ছেলে মেয়েদের পিঠা উৎসবের আগ্রহ দেখে ও ৭ম ও ৮ম শ্রেণীর জীবন ও জীবিকা বইয়ের আলোকে বাস্তব অভিজ্ঞতা বিকশিত করার জন্য এই আয়োজন করেছি। প্রতিবছর স্কুল প্রাঙ্গনে পিঠা উৎসবের আনন্দ প্রতিটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পিঠা বাঙালির একটি ঐতিহ্য। নবান্ন উৎসবের পর এই পিঠা উৎসবের একটা ধুম পড়ে যায় গ্রামগঞ্জের প্রতিটি ঘরে।
তিনি আরো বলেন, স্কুলে পিঠা উৎসব করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মেয়েদের পিঠা বানানোর মানসিকতা তৈরি হবে। পাশাপাশি মানসিকভাবে আনন্দ পাবে। বাংলার ঐতিহ্যকে শিক্ষার্থীরা মনে ধারণ করবে আমরা সেই প্রত্যাশা থেকেই এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করি।