শেষ হয়েছে হজ নিবন্ধনের বিশেষ ৮ দিন। নিবন্ধনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশে জন্য নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়নি। এই অবস্থায় আবার হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের কাছে চিঠি দিয়ে এই অনুরোধ করেন হাব সভাপতি শাহাদাত হোসাইন।
চিঠিতে হাব জানায়, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আজ বিকেল ৫টা ২০ মিনিট পর্যন্ত বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছেন ৭১ হাজার ৬৮৯ জন। আরো প্রায় ৪ হাজার ১০০ জনের পেমেন্ট ভাউচার পেন্ডিং রয়েছে। এছাড়া গত ৩১ জানুয়ারি হজযাত্রী নিবন্ধন সার্ভার ডাউন থাকার কারণে অনেক হজযাত্রীর নিবন্ধন করা সম্ভব হয় নাই মর্মে হজ এজেন্সিগুলো হাবকে জানিয়েছে। এমনকি পাসপোর্ট পেতে বিড়ম্বনা ও দীর্ঘসূত্রিতার কারণে আরো অনেক হজযাত্রী অপেক্ষমান আছেন মর্মে আমরা জানতে পেরেছি।
তাই ২০২৪ সালের হজযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধিকল্পে এবং সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে ও আল্লাহর মেহমান হজ্জযাত্রীদের কল্যাণে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য চিঠিতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজের পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, এবছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার কোটা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ফ্রেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ৭ টা পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৩৬৯ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ১৬৫ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৪ হাজার ২০৪ জন নিবন্ধন করেছেন। সে হিসাবে এখনও কোটা খালি রয়েছে ৪৮ হাজার ৮২৯টি।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই কোটা পূরণ না হলেও সৌদি সরকারকে ফেরত দিতে হবে। এই ফেরত দেওয়া ঠেকাতে আট দিনের সুযোগ দেয় মন্ত্রণালয়।