বিপিএলের সিলেট পর্বের শেষ এবং ঢাকা পর্বের শুরুর সময়টাকে চাইলেই দলবদলের মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করতেই পারেন। পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়দের প্রাধান্য দিয়ে দল সাজানো বিপিএলের পুরাতন রেওয়াজ। সেই ধারাতেই শুরু হয়েছিল এবারের বিপিএল। দুই দেশের পরিচিত সব ক্রিকেটার খেলেছিলেন বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের আর থাকা হচ্ছে না।
১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে পাকিস্তানের নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগ পিএসএল। যার জন্য এখন থেকেই দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা। বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের মত তারকাদের এনওসি বা অনাপত্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হচ্ছে কাল। আবেদন করেও তারা নিজেদের বিপিএলে থাকার মেয়াদ বাড়াতে পারেননি। পাকিস্তানের প্রায় সব ক্রিকেটারই ১৩ ফেব্রুয়ারির পর নিজ দেশের লিগ খেলতে চলে যাবেন।
যে কারণে বিপিএল ছাড়ছেন সব পাকিস্তানি তারকা
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের তারকারা চলে যাবেন জাতীয় দলের হয়ে খেলতে। মোহাম্মদ নবী, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নাজিবউল্লাহ জাদরান, আভিস্কা ফার্নান্দো এবং দাসুন শানাকা চলে যাবেন শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তান সিরিজে জাতীয় দলের হয়ে অংশ নিতে।
এদিকে চলে যাওয়ার এই মিছিলে বিপিএল রঙ হারিয়ে ফেলবে এমন সম্ভাবনা নেই। এসএ টি-টোয়েন্টি শেষের দিকে। আবার অস্ট্রেলিয়াতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজও শেষ হয়েছে। শেষের পথে আছে আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টি। এখান থেকে একাধিক ক্যারিবিয়ান এবং প্রোটিয়া তারকা ছাড়া পেয়ে বিপিএলে যোগ দিবেন।
ঢাকা এবং চট্টগ্রাম পর্বে বিপিএলে যোগ দেবেন ক্রিকেট বিশ্বের বড় কিছু নাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে সিরিজ শেষ হলেই বিপিএলের খুলনা শিবিরে আসবেন শাই হোপ, ওশান থমাসরা। দুজনই চট্টগ্রাম পর্বে বিপিএলে যোগ দেবেন।
বিপিএলের নিয়মিত মুখ আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন যুক্ত হবেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে আসবেন রোমারিও শেফার্ড এবং ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্ট। রংপুরে যুক্ত হবেন নিকোলাস পুরান এবং রাসি ফন ডার ডুসেন। যদিও এই প্রোটিয়া ব্যাটার কবে বিপিএলে যোগ দেবেন তা অনিশ্চিত।