ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে তিনটি ভেড়াকে গুলি করেছে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। এসব ভেড়া সাধারণ ফিলিস্তিনিদের গৃহপালিত ছিল। যুদ্ধবিধ্বস্ত খান ইউনিসে একটি রাস্তায় বিচরণ করছিল ভেড়াগুলো। তখনই সেগুলোকে হত্যা করা হয়।
গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সেন্সরড ভয়েজ নামের একটি এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে ভেড়াদের গুলি করে হত্যার ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি স্নাইপাররা তিনটি ভেড়াকে হত্যা করেছে। এই ভেড়াগুলোও কি খামাস (সহিংসতা) ছিল?’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা।
চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলিদের বর্বরতায় গাজায় এখন পর্যন্ত ২৭ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি।
বর্তমানে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে তাদের বর্বরতা চালাচ্ছে। তাদের দাবি, হামাসের সদস্যরা খান ইউনিসে লুকিয়ে আছে। এর আগে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা চলেছে গাজার উত্তরাঞ্চলে। দীর্ঘদিন ব্যাপক হামলা চালানোর পর ইসরায়েল দাবি করে, উত্তরাঞ্চলে তারা হামাসকে নির্মূল করেছে। এরপর সেখান থেকে তারা সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়। এরপরই সেখানে আবারও হামাসের সদস্যদের দেখা যায়। এমনকি উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ বাহিনীকে মোতায়েন করে তারা। এছাড়া অনেক সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের আংশিক বেতন প্রদান করে সশস্ত্র এ গোষ্ঠী।
এদিকে বোবা ভেড়াদের হত্যার মাধ্যমে আবারও ফুটে উঠেছে ইসরায়েলি সেনাদের নৃসংসতা। গাজায় হামাসকে নির্মূলের কথা বললেও; তারা সেখানে সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে চলছে। তাদের এসব হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না ফিলিস্তিনিদের গৃহপালিত প্রাণীও।
গাজায় এখন পর্যন্ত যেসব মানুষের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
সূত্র: আলজাজিরা