পিরোজপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনোগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর শামসুন্নাহারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুদকের পিরোজপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আরিফ হোসেন বাদী হয়ে ১ কোটি ৫৩ লাখ ১২ হাজার ৫৪১ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করেন। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় পিরোজপুরের উপ-পরিচালক শেখ গোলাম মাওলা মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনোগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর শামসুন্নাহারের নিজ নামে ৮৬ লাখ ৮০ হাজার ৪৮৯ টাকার কেনা জমি ও ৭৯ লাখ ৯০ হাজার ১৬৫ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তার ওই সম্পদের মধ্যে তিন লাখ টাকা দেনা রয়েছে।
শামসুন্নাহার পিরোজপুর সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল ১৪৭৭ নম্বর দলিলে ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা এবং একই সাব রেজিস্ট্রি অফিসের ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর ৩০২১ নম্বর দলিলে ১৫ লাখ টাকা মূল্যের কেনা জমির তথ্য গোপন করেন।
২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনে শামসুন্নাহরের দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং ১ কোটি ৫৩ লাখ ১২ হাজার ৫৪১ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক নিজ হেফাজতে রাখায় মামলা করে দুদক।
দুদকের পিরোজপুর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শামসুন্নাহার পিরোজপুর পৌরসভার বড় খলিশাখালী মহল্লার শেখ হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী। তিনি ২০০৯ সালের ২১ জানুয়ারি পিরোজপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্টেনোগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে যোগদান করেন। তবে ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর ছুটি নিয়ে কর্মস্থলে আর যোগদান করেননি।
বৃহস্পতিবার পিরোজপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আরিফ হোসেন বাদী হয়ে শামসুন্নাহারের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) এবং ২৭ (১) ধারায় একটি মামলা রজু করেন। ইতোপূর্বে শামসুন্নাহারের স্বামী শেখ হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১৫ কোটি ২৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩৫ টাকা টাকার সম্পদ অর্জনপূর্বক তা নিজ ও স্ত্রীর হেফাজতে রাখার অপরাধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় পিরোজপুরের উপপরিচালক শেখ গোলাম মাওলা বলেন, পিরোজপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনোগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর শামসুন্নাহারের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনে দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং ১ কোটি ৫৩ লাখ ১২ হাজার ৫৪১ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করে নিজ হেফাজতে রাখায় দুদক মামলাটি করে।