কথাপ্রধান গানের জন্য সমাদৃত দেবাশীষ সমদ্দার। গানের আঙিনায় খুব একটা নিয়মিত না হতে পারলেও তার পথচলাটা সেই নব্বই দশক থেকে। জীবনমুখী বেশ কিছু গান তিনি উপহার দিয়েছেন যেগুলো শ্রোতাদের মন ভরিয়েছে। গেল কয়েক বছর ধরে ব্যক্তিগত জটিলতায় গান থেকে দূরে ছিলেন এই গানের মানুষ। একই বছরে পরপর হারিয়েছেন বাবা, মা, ছোট ভাই ও স্ত্রীকে।
প্রিয়জন হারানোর বিষাদে বিদ্ধ হয়ে জীবনের চরম প্রতিকূলতা পেরিয়ে গানকে আঁকড়ে ধরেই টিকে থাকার চেষ্টা করছেন দেবাশীষ। এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন পর হাজির হলেন ভিন্নধর্মী একটি রোমান্টিক গান নিয়ে। গানের শিরোনাম ‘এখন নামবে শ্রাবণ’।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় কণ্ঠশিল্পী দেবাশীষ সমদ্দারের এই গানের ভিডিও প্রকাশনা উৎসব হয়ে গেল তেজগাঁওয়ের ইয়ামাহা ফ্ল্যাগশীপ সেন্টারে। অনুষ্ঠানে শিল্পীকে শুভাশিষ জানাতে হাজির হয়েছিলেন বরেণ্য সংগীত পরিচালক পার্থ মজুমদার, কন্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদার, সন্দীপন দাশ, অভিনেতা ও নির্মাতা তানভির হোসেন প্রবাল প্রমুখ।
‘এখন নামবে শ্রাবণ’ গানের কথা ও সুর করেছেন শিল্পী নিজেই। এর সংগীত পরিচালনা করেছেন জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদার। মাস্টারিং করেছেন অমিত মল্লিক।
শিল্পী তার অকাল প্রায়াত স্ত্রী টেলিভিশন সংবাদ উপস্থাপক, সমাজকর্মী এবং এসোসিয়েট প্রফেসর (আইইডিসিআর) ড. এন.কে. নাতাশার স্মৃতির উদ্দেশ্যে গানটি উৎসর্গ করেছন।
দেবাশীষ বলেন, ‘এই গান আমার নিঃসঙ্গ জীবনের নির্যাস। গানটি শ্রোতারা শুনলে আমি তৃপ্তি পাব। বাপ্পা মজুমদারকে ধন্যবাদ চমৎকার শ্রুতিমধুর সংগীতায়োজন করার জন্য। গানটির ভিডিও থেকে অর্জিত সমস্ত অর্থ ‘প্রকৃতি নির্ভর হাসপাতাল’- এর কাজে ব্যয় করা হবে। বরিশাল বিভাগের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা গ্রামে হাসপাতালটির স্থাপন প্রক্রিয়াধীন।’
গানটি নিয়ে বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘দারুণ কিছু কথায় সাজানো গানটি। দেবাশীষ সমদ্দার আমার খুব কাছের ছোট ভাই। অসাধারণ লেখে সে। ওর সহজ সরল কিন্তু মাদকতাপূর্ণ গলায় গাওয়া এই নিখাঁদ প্রেমের গানটি সবার অনেক ভালো লাগবে।’
গানটির ভিডিও পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা রনি আহসান। ভিডিওচিত্রে দেবাশীষের সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়া। রাঙামাটির বৈচিত্রময় লোকেশনে নির্মিত গানটির সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন জুলকার আহমেদ সায়েম। সম্পাদনা ও রং বিন্যাস করেছেন আকতারুল আলম তিনু।
দেবাশীষ সমদ্দার এর অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজ – ‘দেব সিন্ধু’তে অবমুক্ত করা হয়েছে গানটি।