নিজস্ব সংবাদদাতা : দেওয়ানগঞ্জ বিভিন্ন রঙের ফুলকপি বাঁধা কফি চাষে করে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়াই কৃষকদের মধ্যে রঙিণ কপি চাষে আগ্রহ বেড়েছে বেশি দামে বিক্রি করতে পেয়ে কৃষকের মুখে হাঁসির ঝিলিক। বাজারে এ বছরেই প্রথম রঙিণ ফুলকফি উঠাই হাঁট বাজার গুলোতে এ কফির চাহিদাও ব্যাপক।
কৃষক সাদা কফি চেয়ে রঙিণ কফি বেশি দামে বিক্রি করতে পেয়ে তারা খশি। দেওয়ানগঞ্জ পৌর এলাকা, সদর ইউনিয়ন ও চুকাইবাড়ী সহ আশপাশ এলাকা রঙিণ ফুল কফি, বাঁধা কফি, মশলা, মেথি, চাষ করেছে।
সরজমিনে ঘুরে রঙিণ ফুল কফি চাষিদের সঙ্গে কথা হলে তারা এ প্রতিনিধিকে জানান, গুজিমারী গ্রামের আফছার আলী ৩৩ শতাংশ জমিতে গবেষনা প্লটে লাল, হলুদ, বেগুনি এবং সাদা রঙের ফুল কফি চাষ করেছেন। কফিগুলো দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের রয়েছে। বাজারে দাম ভালো। চাহিদা প্রচুর ইতিমধ্যে তিনি ২৫ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন আরো ২৫ হাজার টাকার মত ক্ষেতে কফি রয়েছে। এ বছরে তিনি প্রথম রঙিণ ফুল কফি চাষ করেছেন। চর ভবসুর গ্রামের উল্লিউল্লাহ্্, বানিয়ানীর চর দুদু মিয়া জানান ফশলের নিবিরতা বৃদ্ধি করণ প্রকল্প থেকে বিনা মূল্যে রঙিণ ফুল কফি, বাঁধা কফি, বিজ চাড়া দিয়েছেন। সার কিটনাশক মুক্ত সম্পন্ন যৈব সার ব্যাবহার করে চাষ করা হয়েছে। এ জাতের কফি বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আগামী বছর আরো বেশি করে চাষ করব। রঙিণ ফুল কফি ক্ষেতে উৎসুক লোকজন দেখতে আসে তরুন তরুনী সহ বিভিন্ন মানুষ সেলফি ও ছবি তুলছে।
সাদা ১কপি ১৫ থেকে ২০ টাকা কিন্তু রঙিণ কফিগুলো দিগুণ ও তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কফির রুপনে মধ্যে ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে তুলা যায়।
কৃষিবিদ পি এইচ ডি গবেষক পরেশ চন্দ্র দাস জানান নদী তীরবতি চর অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীল ভূট্টা আন্ত ফসল হিসাবেও চাষ করা যায় বিভিন্ন রঙের ফুল কফি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর আজাদ জানান. কৃষকদের রঙিণ ফুল কফি বাঁধা কপি, মশলা, জাতীয় ফসল চাষে সব ধরণের সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান. কৃষকের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ করে সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।