ইন্ডিয়ান আইডলের ১৪ নম্বর সিজনে চমক হিসেবে হাজির হয়েছিলেন আপ কি আদালত খ্যাত জনপ্রিয় সাংবাদিক রজত শর্মা। এই রিয়ালিটি শোর বিরুদ্ধে অভিযোগ কম নয়। অনেকের মতে, এসব শোতে সবকিছুই হয় পূর্বনির্ধারিত। কোন প্রতিযোগীর গান শুনে বিচারকরা কী বলবেন, তাও ঠিক করে দেন নির্মাতারা।
প্রতিযোগীদের করুণ কাহিনি, জীবনযুদ্ধ, চোখের পানি দেখিয়ে দর্শক টানার চেষ্টা করা হয়– এসব এসব অভিযোগ তুললেন রজত শর্মা। আর কাঠগড়ায় দাঁড়ালেন শ্রেয়া ঘোষাল। ইন্ডিয়ান আইডলের চলমান সিজনের বিচারক তিনি।
রজত শর্মা সরাসরি জানতে চান, অনেক দর্শকের ধারণা ইন্ডিয়ান আইডলে যা কিছু দেখানো হয় তা পূর্বনির্ধারিত, সবটাই টিআরপির জন্য নাটক। এ কথা শুনে শ্রেয়া প্রতিবাদের সুরে কথা বলেন। বলেন, আমার কোনো ধারণা নেই দর্শকদের এমনটাও মনে হতে পারে ইন্ডিয়ান আইডলে, যা সংগীতের দিক থেকে বিচার করলে বেশ সমৃদ্ধ। এখানে যতজন প্রতিযোগী আছেন, সবাই সেরাটা দিচ্ছেন, এদের জন্য আমাদের মুখ থেকে যে শব্দ বের হয়, তা পানি মেশানো নয়। আমরা সবাই মিলে একটাই জিনিসের সাধনা করি, সেটা সংগীত। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য দর্শকদের সামনে সেরা উপস্থাপনা করা। এখানে যা দেখানো হয় সবটাই সত্যি, সত্যির বাইরে কিছু তুল ধরা হয় না।
অন্যদিকে এদিন ফের একবার নিজের গলার জাদুতে ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চ মাতালেন কলকাতার ছেলে শুভদীপ। আমির খসরু রচিত ছাপ তিলক সব ছিনি কওয়ালি গাইলেন তিনি। শুভদীপের গান শুনে বাকরুদ্ধ শ্রেয়া, শানুরা। শ্রেয়া ঘোষাল এ পারফরম্যান্স শেষে উঠে দাঁড়িয়ে করতালি দেন, তারপর সোজা চলে যান স্টেজে। শুভদীপকে আলিঙ্গন করে জানান, ‘কী গেয়েছ… ফাটাফাটি গেয়েছো তো, শুভ তুমি আরও একটা চিঙ্গারি জ্বালিয়ে দিলে, আমি জানি না তোমার সীমা কোথায়, অসীমের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছো’।
শুভদীপের মানবিকতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ রজত শর্মা। তিনি সবার সামনে বলেন, কলেজ জীবন অরুণ জেটলি তাকে বুকে টেনে নিয়েছিলেন। আমৃত্যু কলেজের জুনিয়র রজত শর্মার কাঁধে ভরসার, সাহায্যের হাত রেখেছিলেন।
শুভদীপকে বিশেষ উপহার দেন রজত শর্মা। তাকে একটি মাইক্রোফোন উপহার স্বরূপ দেন বিখ্যাত এ সাংবাদিক। পা ছুঁয়ে সিনিয়র সাংবাদিকের আশীর্বাদ নেন শুভদীপ।