কারাগারে বন্দি থাকা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন দেশটির একটি আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে ইমরানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
পাকিস্তানে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনের আগে আরও কয়েকটি মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয় এবং তিনটি মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে তা সত্ত্বেও নির্বাচনে ইমরানের দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সর্বোচ্চ আসন পায়।
৭১ বছর বয়সী ইমরান খান গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে তার সবই তিনি অস্বীকার করেছেন।
ঘুষ গ্রহণের নতুন অভিযোগটি করা হয়েছে আল-কাদির ট্রাস্ট নিয়ে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ইমরান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি মিলে এ ট্রাস্টটি গঠন করেন।
প্রসিকিউটররা দাবি করেছেন, ট্রাস্টের নামে ইসলামাবাদের অদূরে ৬০ একরের একটি দামী জমি হাতিয়ে নিয়েছেন ইমরান ও তার স্ত্রী। এছাড়া অভিযোগ করা হয়েছে, পাকিস্তানের অন্যতম ধনী ব্যক্তি এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী মালিক রিয়াজ হোসেনের কাছ থেকে একটি জমি ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন ইমরান।
পিটিআই দাবি করেছে, কারাবন্দী থাকা অবস্থায় ইমরানকে আরও মামলায় অভিযুক্ত করার অর্থ হলো— শাসকরা তাকে আরও বেশি সময় কারাগারের ভেতর আটকে রাখতে চায়।
২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান। এরপরই তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হতে থাকে।
ক্ষমতা হারানোর আগে ইমরান খান দেশটির প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর সমর্থনও হারান। ফলে তাকে খুব সহজেই অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে অন্যান্য দলগুলো প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদচ্যুত করে।