এস,এম হুমায়ুন কবির : জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার সদরসহ বিভিন্ন হাট বাজারে ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই অনেকেই ওষুধের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। দায়বদ্ধতা না থাকায় অনেকেই নি¤œমানের ওষুধ বিক্রয় করে থাকেন। বছরের পর বছর ধরে এভাবে চলে এলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এদিকে নজর দিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলার হাটবাজার গুলি ঘুরে দেখা গেছে, অনেকই ড্রাগ আইনের তোয়াক্কা না করেই ওষুধ ক্রয় ও বিক্রয়ের ব্যবসা করছেন। অনেক ওষুধের নাম ব্যবসায়ীরা শুদ্ধভাবে বাংলা এবং ইংরেজিতে পড়তেই পারেন না। যার ফলে ক্রেতাদের চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। ওষুধের দোকান ও ফার্মেসির লাইসেন্স প্রতিবছর নবায়নের নিয়ম থাকলেও সেটা অনেকেই মান্নছে না। ফর্মেসিতে ফ্রিজ থাকা অত্যবশ্যকীয় হওয়া সত্বেও শতকরা ৫০ ভাগ ড্রাগ ফার্মেসিতে ফ্রিজ নেই বলেই চলে। আবার কোন কোন ফার্মিসিতে ফ্রিজ থাকলেও সেটা নষ্ট হয়েছে অনেক দিন। সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে অনেক ওষুধের গুণগতমান নষ্ট হয়ে যায় তর পরেও সেই ওষুধ গুলি বিক্রি করেদেয় কারণ ওষুধের পেকেটে আরও দুই মাস মিয়াত লেখা রয়েছে। ফর্মেসিতে একজন ডিগ্রিধারী চিকিৎসক বসার কথা থাকলেও শুধু নামসর্বস সাইনবোর্ড ঝোলানো থাকে। রোগীরা ঔই সকল দোকানে ওষুধ ক্রয়করতে গেলে বিক্রেতারাই নিজেরাই ডাক্তার সেজে বসেন। এমনকি বাড়তি মূল্য নিয়ে নি¤œমানের ওষুধ বিক্রি করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই আবার পল্লীচিকিৎসক হয়ে তার নামের আগে ডাক্তার লিখিয়ে বসে আছেন। এসব অভিযোগ দির্ঘদিনের। অথচ সংশ্লিষ্টদের এদিকে নজর দেওয়ার মত সময় হচ্ছে না। নাম প্রকাশ না করার সত্যে জনৈক ব্যক্তি এই প্রতিনিধিকে জানান,বগুড়া থেকে কিছু নি¤œ মানের ওষুধ নিয়ে এসে এখানে বেশী দামে বিক্রি করছে অনেকেই, তাও আবার বিদেশী ওষুধ বলেই চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। উপর উক্ত বিষয় গুলি সঠিক ভাবে তদন্ত করলে থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে।বিভিন্ন ফার্মেসিতে ২ নাম্বার ওষুধ থাকলেও তাদের দাপটের জন্য কেও কিছু বলার সাহস পাচ্ছেনা।