টানা ৮ মাস ধরে দেশের বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য সমন্বয় করা হচ্ছে। এই সময়ে জ্বালানি পণ্যটির দাম দফায় দফায় বাড়িয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এতে গত ৮ মাসে এলপি গ্যাসের মোট দাম বেড়েছে ৪৮৩ টাকা।
সর্বশেষ ৩ মার্চ এলপি গ্যাসের দাম ৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা নির্ধারণ করে বিইআরসি। কমিশনের ঘোষণায়, ভোক্তা পর্যায়ে মূসকসহ প্রতি কেজি এলপিজির নতুন দাম ১২৩ টাকা ৫২ পয়সা করা হয়েছে। সেই হিসাবে ১২ কেজি সিলিন্ডারের নতুন দাম ১ হাজার ৪৮২ টাকা ২৪ পয়সা।
আট দফায় বিরতিহীন বাড়ল এলপি গ্যাসের দাম
গত বছরের আগস্ট মাস থেকে দেশের বাজারে শুরু হয় এলপিজির বিরতিহীন দাম বৃদ্ধির মহড়া। কখনো আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি, কখনো আনুষঙ্গিক খরচের সঙ্গে মূল্য সমন্বয়ের কথা বলে ছুটেছে এলপিজির দাম। আট মাসের হিসেবে গত আগস্টে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১০৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এই ধারা অব্যাহত রেখে সেপ্টেম্বরে নতুন দাম হয় ১২৮৪, অক্টোবরে ১৩৬৩, নভেম্বরে ১৩৮১, ডিসেম্বরে ১৪০৪ টাকা, নতুন বছরে জানুয়ারিতে ১৪৩৩ টাকা, ফেব্রুয়ারি ১৪৭৪ টাকা, সর্বশেষ মার্চে বেড়ে দাঁড়ায় ১৪৮২ টাকা।
মূলত ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে প্রতি মাসে এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণ করছে বিইআরসি। সৌদি কার্গো মূল্যকে (সিপি) ভিত্তিমূল্য ধরেই দেশের বাজারে এলপিজির দাম সমন্বয় করে আসছে বিইআরসি।
এদিকে প্রতি মাসে এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেনের দাম প্রকাশ করে সৌদি প্রতিষ্ঠান আরামকো। এ মাসে সিপি অপরিবর্তিত থাকলেও দেশে দাম বাড়িয়েছে বিইআরসি।
কমিশনের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান, এবার সিপি অপরিবর্তিত থাকলেও জাহাজ ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
অপরদিকে দেশের বাজারে এলপিজির নতুন দাম ৩ মার্চ সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হয়েছে।