শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর জেলার সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের ডুবারচর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে মোঃ দাহিরুল ইসলাম তরুণের সাথে একই গ্রামের প্রতিবেশী মোঃ জুবাইদুল ইসলাম গংদের পূর্ব শত্রুতা ও জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ৬ মার্চ বুধবার দুপুর ১টার দিকে প্রতিপক্ষ মোঃ জুবাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে দাহিরুল ইসলাম তরুণের ২০ শতাংশ জমিতে রোপিত বোরো ধান গাছ প্রকাশ্যে কেটে সাবার করে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার টাকা।
অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ডুবারচর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে মোঃ দাহিরুল ইসলাম তরুণের পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত ৮৪ শতাংশ কৃষি জমি যার বিআরএস দাগ নং ৫১৭০, ৫১৭১, ৫১৭২ সহ ভিন্ন দাগের জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছিলো দাহিরুল ইসলাম তরুণ, চাচাতো ভাই ছামিদুল হক লিখন মিয়া, তৌহিদুর রহমান।
এদিকে ওই জমির অংশ জালাল উদ্দিন তার প্রাপ্য অংশ পূর্বেই বিক্রয় করে ফেলেন এবং বিক্রয় করার পরেও ২০১৬ সালে আবারো তার ছেলে মোঃ জুবাইদুল ইসলামের নামে ৮৪ শতাংশ ওই জমি গোপনে দলিল করে দেন। আর এই সুযোগে মোঃ জুবাইদুল ইসলাম তার নিজ নামে খারিজ করে ফেলেন। পরে ওই জমির বিপরীতে ফারমার্স ব্যাংক বর্তমানে পদ্ম ব্যাংকে মোটা অংকের ঋণ গ্রহণ করেন। এদিকে বিষয়টি জমির প্রকৃত মালিক দাহিরুল ইসলাম তরুণ গংরা জানতে পেরে শেরপুর সদর উপজেলা ভূমি অফিসে বিগত ২২/৮/২০২৩ইং সালে একটি মিস কেস করেন। পরে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ওই ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভূমি কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলামকে তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য নির্দেশনা দেন। পরে সরেজমিন তদন্তপূর্বক এবং জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখতে পান যে, মোঃ জুবাইদুল ইসলামের ওই জমিতে তার কোন শর্ত বা স্বার্থ এবং দখল নেই বলে সঠিক প্রতিবেদন দাখিল করেন ওই ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা এবং সেই সাথে দাহিরুল ইসলাম তরুণ গংরা প্রকৃত জমির মালিক বলে উল্লেখ করেন। এসব ঘটনা ছাড়াও মোঃ জুবাইদুল ইসলাম বিগত ১৮/৬/২০২২ইং সালে দাহিরুল ইসলামসহ তার ভাইদের প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করে করেন। পরে দাহিরুল ইসলাম তরুণ মোঃ জুবাইদুল ইসলাম ও তার বড় ভাই জাহিদুল ইসলামের নামে ৪/৭/২০২২ইং সালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১০৭/১১৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ২৪৬/২২। এমামলায় মোঃ জুবাইদুল ইসলাম তার বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম স্বপন ৪/১০/২০২২ইং আদালতে হাজির হয়ে মুচলেকা দিয়ে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি পান। এর পরেও একের পর এক দাহিরুল ইসলাম তরুণ গংদের নানাভাবে হয়রানি ও ক্ষতিসাধন করে আসছেন বলে এমনটাই অভিযোগ করেন দাহিরুল ইসলাম তরুণ। এরই ধারাবাহিকতায় ২৮/২/২৪ইং ওই জমিতে মোঃ জুবাইদুল ইসলাম সে নিজেই ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। এদিকে তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখের পূর্বেই আবার সে তার ভাইসহ অপরাপরদের নিয়ে লাঠিসোটাসহ দাহিরুল ইসলাম তরুণের রোপিত বোরো ধান কেটে সাবার করে ফেলেন যার ভিডিও চিত্র রয়েছে।
এব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়রানির শিকার দাহিরুল ইসলাম তরুণ সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে ন্যায় বিচার ও প্রতিকার পেতে জেলা প্রশাসক, সহকারি কমিশনার (ভূমি), সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।