লিয়াকত হোসাইন লায়ন : আবহমান বাংলার সৌন্দর্য্যের রাজা বলে পরিচিত গ্রীস্মকাল। ফাগুনের ছোয়ায় পলাশ-শিমুলের বনে লেগেছে আগুন রাঙ্গার ফলের মেলা। শীতের জড়তা কাটিয়ে কোকিলের সেই মধুময় কুহুতানে মাতাল করতে আবারও ফিরে এলো বাংলার বুক মাতাল করতে ঋতুরাজ বসন্ত।
রঙ্গিন বন ফুলের সমারোহে প্রকৃতি যেমন সেজেছে বর্নিল সাজে,তেমনি সাজে সেজেছে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা বিভিন্ন এলাকার আম বাগানগুলো। গাছজুড়ে আমের আগাম মুকুলের ঘনঘন্টা। পাতা দেখার যেন উপায় নেই।বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে এর সুন্দর সুগন্ধ। নির্ধারিত সময়ের প্রায় একসমাস আগেই আবহাওয়াগত ও জাতের কারনেই মুলত আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে গাছগুলোতে।
তবে চলতি মাসের শেষের দিকে প্রতিটি গাছেই পুরোপুরি ভাবে মুকুল ফুটতে শুরু করবে।যে সব গাছে আগাম মুকুল আসতে শুরু করেছে,তার বাগান মালিকরা পরিচর্যাও শুরু করেছে দিয়েছেন রীতিমত। বড় ধরনের কোন প্রাকিতিক দূর্যোগ না ঘটলে ইসলামপুরেও আমের বাম্পার ফলন হবে। এ অঞ্চলেও আম চাষে লাভ জনক হওয়ায় আম চাষে ঝুকছে অনেকেই। আমচাষীরা জানান,শীতের তীব্রতা থাকলেও কয়েক সপ্তাহ থেকে আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার গাছগুলোতে মুকুলের সমারহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। আমচাষীরা আশা প্রকাশ করেন,এবার আমের ফলন ভালো হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএলএম রেদোয়ান জানান,আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ অঞ্চলে আমের ভাল ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।