প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কার এআই বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের মস্তিষ্কের মতো করে কাজ। ধীরে ধীরে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এটির ব্যবহার শুরু হচ্ছে। সারা দুনিয়ায় তা নিয়ে হইচই চলছে। এবার বিশ্বে প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এসে গেছেন। তার নাম ডেভিন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কগনিশন এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সৃষ্টি করেছে। টেক সংস্থাটির দাবি, ডেভিন সিঙ্গেল প্রম্পট দিয়েই তৈরি করতে পারে একটা পুরো ওয়েবসাইট। কোডিং থেকে বাগ ফিক্স (প্রযুক্তিগত ত্রুটি) সব কিছু করতে পারে এই রোবট ইঞ্জিনিয়ার।
তৈরি করতে পারে ভিডিও, তা এডিট করে ক্লায়েন্টদের কাছে উপস্থাপনও করতে সক্ষম। এটি অনেকটা মাইক্রোসফটের বানানো এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট কোপাইলট এবং ওপেনএআই চ্যাটজিপিটির মতো। তবে ডেভিন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত। যে কারণে অনেক টেক সংস্থার কাছে ভরসার পাত্র হয়ে উঠতে পারে ডেভিন।
সংস্থাটির দাবি, সফটওয়্যার তৈরি পরিচালনার ক্ষেত্রে যে সাহায্যের দরকার পরে তা নিখুঁত ভাবে করতে সক্ষম ডেভিন। তবে সংস্থাটি জানায়, মানুষের চাকরি প্রতিস্থাপন করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং তাদের কাজ আরো সহজ করে তুলতে আনা হয়েছে এই টুল।
যেসব দক্ষতা রয়েছে ডেভিনের
মানুষের সঙ্গে হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করতে পারবে এমন পরিকল্পনা নিয়েই বাজারে আনা হয়েছে এআই ইঞ্জিনিয়ার ডেভিন। সফটওয়্যার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে যে সুবিধাগুলো দিতে পারে এই রোবট ইঞ্জিনিয়ার
- কোডিং, বাগ ফিক্স করা
- সিঙ্গেল প্রম্পট দিয়ে ওয়েবসাইট বানানো
- রিয়েল টাইম আপডেট
- ফিডব্যাক দেওয়া
- ডিজাইনিং
এছাড়াও ওপেন সোর্স প্রোজেক্ট থেকে বিভিন্ন সমস্যা খুঁজে বের করে এর সমাধান করতে পারে এই ইঞ্জিনিয়ার। যদিও এর আগে যে এআই মডেলগুলো বাজারে এসেছে দক্ষতার দিক দিয়ে তাদেরকেও ছাপিয়ে গেছে ডেভিন। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং জগতে গেম চেঞ্জার হতে পারে এই টুল।
সংস্থাটির দাবি, ডেভিনকে বাকিদের থেকে যা আলাদা করে তোলার উদ্দেশ্য জটিল কাজ সহজে পরিচালিত করা। এই টুলের রয়েছে কয়েক হাজার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। পাশাপাশি ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিষেবা উন্নত করতে পারে ডেভিন।