জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার অপমৃত্যুর ঘটনাকে ‘টেকনিক্যাল মার্ডার’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়া নিপীড়ন ও অপমৃত্যু ঠেকাতে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া দুপুর দেড়টায় ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’-এর ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো উত্থাপন করেন ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী শাহ্ সাকিব সোহবান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০২২ সালের ৮ মে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী অংকন বিশ্বাসের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়। এছাড়া নিপীড়নের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে সে জন্য সুস্পষ্ট রোডম্যাপ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমাদের কাছে দিতে হবে।
পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো
১। ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার ‘টেকনিক্যাল মার্ডার’-এর সমস্ত প্রমাণ আমলে নিতে হবে। এছাড়া দ্রুততম সময়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও রাষ্ট্রীয় আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২। দ্রুততম সময়ে সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
৩। অংকন বিশ্বাসসহ আগে দায়েরকৃত সব অভিযোগের দ্রুত তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৪। আগের প্রক্টরিয়াল বডির বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য তদন্ত করতে হবে। এছাড়া দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৫। ফাইরুজ অবন্তিকা ও অংকন বিশ্বাসের স্মৃতিতে ক্যাম্পাসে দুটি স্থায়ী ফলক নির্মাণ করতে হবে।
গত ১৫ মার্চ শুক্রবার গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর আগে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন তিনি। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।