বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রির্চাজ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের জেনারেল বডির মেম্বার আমিনুল ইসলাম বুলু এক বিবৃতে বলেন-মুঠোফোন বা মোবাইল ফোন এখন আমাদের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্রাউজিং ও কথা না বলে থাকার কথা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। ব্যবসা, শিক্ষা, চিকিৎসা থেকে ব্যক্তিগত পর্যায় সবখানেই মুঠোফোনের ব্যবহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কিন্তু গত কয়েক মাসে কোন কারণ ছাড়াই মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো পাল্লা দিয়ে ইন্টারনেট ও টকটাইম প্যাকেজের দাম বাড়িয়ে চলায় গ্রাহকরা মুঠোফোন প্যাকেজের খরচ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
বুুলু আরো বলেন- মুঠোফোন অপারেটরগুলো যাতে গ্রাহক স্বার্থের পরিপন্থী কোন পদক্ষেপ নিতে না পারে সে জন্য “বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)” নামে সরকারের একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা রয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি সহ যে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিটিআরসি’র গণশুনানীর আয়োজন করার বিধান রয়েছে। অতীতেও আমরা দেখেছি বিভিন্ন বিষয়ে বিটিআরসি গণশুনানীর আয়োজন করেছে। কিন্তু প্যাকেজ কমানো ও মূল্য বাড়ানোর মতো এতটা জনগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে কেন তারা কোন গণশুনানীর প্রয়োজন মনে করেনি তা আমাদের বোধগম্য নয়।
বর্তমানে গ্রাহকরা অপারেটরগুলো দ্বারা বহুমুখী পন্থায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে গ্রাহকদেরকে উচ্চমূল্যে নির্দিষ্ট মেয়াদের প্যাকেজ কিনতে হচ্ছে অপরদিকে মাস শেষে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই প্যাকেজের অব্যবহৃত ডাটা ও টকটাইম ব্যবহারের সুযোগ থাকছে না। কারণ গ্রাহকগুলোর শর্ত হচ্ছে অব্যবহৃত ডাটা ও টকটাইম ব্যবহার করতে হলে এক মাস শেষ হওয়ার পূর্বে সেই একই প্যাকেজটি পুনরায় চালু করতে হবে। কিন্তু অনেক গ্রাহক অভিযোগ করেছেন ‘মাই অফার’ থেকে একটি প্যাকেজ রিচার্জের পরবর্তী মাসে ৩০ দিন মেয়াদের মধ্যে সেই একই প্যাকেজটি আর তাদেরকে দেয়া হয় না। ফলে তারা তাদের অব্যবহৃত ডাটা ও টকটাইম ব্যবহার করতে পারেন না। অপরদিকে অনেক ব্যবহারকারী শত ব্যস্ততার মধ্যে প্যাকেজের মেয়াদ শেষের তারিখ মনে রাখতে না পারায় দেরিতে রিচার্জ করে অব্যবহৃত ডাটা ও টকটাইম ব্যবহারের সুযোগ হারিয়েছেন। এভাবে একটি প্যাকেজের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধের পরও গ্রাহকদের তার পূর্ণ ব্যবহারের সুযোগ না দিয়ে অপারেটরগুলো অব্যবহৃত ডাটা ও টকটাইম একাধিকবার বিক্রি করছে। যা নৈতিকভাবেও সমর্থনযোগ্য নয়।