গত কয়েক দশকে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি ও মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। তবে পুরুষদের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারে আগ্রহ কমে আসছে দিন দিন। দেখা যাচ্ছে নারীদের মোবাইলের আগ্রহ বাড়ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিএস এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে পুরুষ মোবাইল ব্যবহারকারী ছিল ৮৬ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে মোবাইল ব্যবহারকারী পুরুষ।অন্যদিকে, ২০২২ সালে নারী মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ছিল ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৬২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে নারী ব্যবহারকারী যেখানে বেড়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ, সেখানে পুরুষ ব্যবহারকারী কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ।
এদিকে মোবাইল ফোন ব্যবহারের দিক থেকে গ্রাম ও শহরের মধ্যে ছিল বিস্তর বৈষম্য। তবে দিন দিন সেই বৈষম্য দূর হচ্ছে। বর্তমানে শহরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রামেও বাড়ছে মোবাইল-ইন্টারনেটের ব্যবহার। এমনকি বৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় এখন গ্রামে অনেক বেশি। শুধু তাই নয়, বর্তমানে শহরে কমছে মোবাইল ফোন ব্যবহারের হার। যদিও এখনো মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী শহরে বেশি।
বিবিএসের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মোবাইল ব্যবহারকারীর হার মোট জনসংখ্যার ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২২ সালে এই হার ছিল ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এই হার শহরে ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং গ্রামে ৭১ দশমিক ৬ শতাংশ। এই হিসাবে এখনো শহরে মোবাইলের ব্যবহার বেশি। তবে বৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি।
২০২০ সালে গ্রামে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর হার ছিল ৬৯ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২৩ সালে সেটা বেড়ে হয়েছে ৭১ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ তিন বছরের ব্যবধানে প্রায় দুই শতাংশ বেড়েছে ব্যবহারকারী। আর ২০২২ সালে ছিল ৭১ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ।
অন্যদিকে, ২০২২ সালে শহরে মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ছিল ৮৩ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। আর ২০২০ সালে শহরে ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ মোবাইল ব্যবহারকারী ছিল। চার বছরে বেড়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ চার বছরের ব্যবধানে শহরের চেয়ে গ্রামে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।