ঘরের মাঠেও দুয়োধ্বনি শুনতে হলো পান্ডিয়াকে

হার্দিক পান্ডিয়ার সময়টা ভালো যাচ্ছে না কোনোভাবেই। রোহিত শর্মাকে সরিয়ে তাকেই মুম্বাইয়ের অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত এখনো যেন মেনেই নিতে পারছেন না মুম্বাই ভক্তরা। এর আগে নিজেদের ঘরের বাইরের মাঠে দুয়োধ্বনি শুনতে হয়েছিল তাকে। এবার তো সরাসরি নিজেদের মাঠ ওয়াংখেড়েতে দুয়ো শুনলেন হার্দিক। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বইয়ং রোহিতই এগিয়ে এসেছিলেন। 

কিন্তু মুম্বাইয়ের দর্শক যেন এবারে রোহিতের কথাও শুনতে নারাজ। বিশেষ করে হার্দিক যখন দলের প্রয়োজনে বড় রান করতে ব্যর্থ, তখন ঘৃণা যেন আরও বেশিই দেখালেন মুম্বাই সমর্থকরা। ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেও হার্দিককে লক্ষ্য করে ভেসে এল ব্যাঙ্গাত্মক শিস। টস করতে নামার সময় স্টেডিয়াম জুড়ে শোনা গেল ‘রোহিত, রোহিত’ চিৎকার। 

হার্দিক যে দুয়ো পেতে পারেন, তা আঁচ করা গিয়েছিল আগেই। আহমেদাবাদ এবং হায়দরাবাদে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের আগের দু’টি ম্যাচে একই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। ওয়াংখেড়েও বাদ গেল না। টসের আগে থেকেই আক্রমণ শুরু হয়। হার্দিক ওয়ার্ম-আপ করতে নামার সময়েই ব্যাঙ্গাত্মক শিস দেওয়া শুরু হয়। এর পর স্টেডিয়ামে তার নাম বলার সময়েও দেয়া হয় এমন শিষ দিয়েছেন অনেকে। 

হার্দিক টস করতে নামার সময় আবার বদলে গেল দর্শক প্রতিক্রয়া। ওয়াংখেড়েতে রোহিতের নাম ধরে চিৎকার শুরু হয়। তখনই মাইক হাতে সঞ্জয় মাঞ্জরেকার দর্শকদের সংযত হতে বলেন। তাতেও থামেনি চিৎকার। হার্দিক ব্যাট করতে নামার সময়েও ‘শচীন টেন্ডুলকর স্ট্যান্ড’ থেকে কটাক্ষ ভেসে আসে।

ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করতে নেমে গোল্ডেন ডাক মারেন রোহিত শর্মা, নোমান ধির এবং ব্রেভিস। এক ট্রেন্ট বোল্টেই ভারসাম্য হারায় মুম্বাই। পরে ইশান কিষান ফিরে যান ১৬ রানে। ব্যাট হাতে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি হার্দিক। ৩৪ রানে ফিরে যান ক্যাপ্টেন। 
 
পরে তিলক ভার্মা আর টিম ডেভিদের দৃঢ়তায় ১২৫ রান তোলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। জবাব দিতে নেমে ১০ রানেই প্যাভেলিয়নে ফিরে যান জয়সওয়াল। পরে সাঞ্জু স্যামসন, জশ বাটলাররাও ফিরে যান দ্রুত। কিন্তু রাজস্থানকে বিপদে পড়তে দেননি রিয়ান পারাগ। ৩৯ বলে ৫৪ রান করেন এই ব্যাটার।