পবিত্র রমজান মাস আসলে মুসলিম দেশগুলোতে অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয়। তবে এখন যেন বদলে গেছে মধ্যপ্রাচ্যের আরব আমিরাত। এখন রমজানেও সেখানে প্রকাশ্যে খাওয়া-দাওয়া, ধুমপান এমনকি একসঙ্গে তরুণ-তরুণীদের অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন দেশটির বাসিন্দারা।
আমিরাতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন ব্রিটিশ প্রবাসী ইম্মা ব্রেইনস। সম্প্রতি তিনি রমজান নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন।
ভিডিওটি প্রকাশের পর ‘রমজানে আমিরাতের বাসিন্দাদের মধ্যে আচার-আচরণে যে পরিবর্তন’ এসেছে সেটি নিয়ে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে রমজানেও প্রকাশ্যে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হচ্ছে না, অশোভন কাপড় পরে মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন এবং অশ্লীলতা করছেন।
সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসকে অমুসলিম নারী ইম্মা বলেছেন, “মানুষকে প্রকাশ্যে খেতে, ধুমপান করতে দেখে আমি আশ্চর্য হয়েছি। কিছু জায়গা অবশ্য উন্মুক্ত। কিন্তু এই মাসে রমজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি ধাপ তো অন্তত থাকতে হবে। মানুষ ও স্থানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ব্যবধান তৈরি করে।”
রমজানে এখন আমিরাতে রেস্তোরাঁগুলো খোলা থাকে। মূলত এখানে অন্য জাতি ও বর্ণের মানুষ থাকায় এসব প্রতিষ্ঠান খোলা থাকে।
আমিরাতের নাগরিক হামদা একই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এটি সম্মান প্রদর্শনের ঘাটতি। আমি আশ্চর্য হয়েছি এবারের রমজানে। অনেকে প্রকাশ্যে খাওয়া এবং ধুমপান করেছে।”
যারা রোজা রাখেন না তাদের গোপন কোনো স্থান বা বিশেষ জায়গায় গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এই পবিত্র রমজান মাসেও অনেককে অসভ্যতা করতে দেখা গেছে। আয়েশা নামের আমিরাতের অপর এক নারী বলেছেন, “বোনদের নিয়ে আমি একটি থিম পার্কে গিয়েছিলাম। সেখানে একটি যুগলকে কাছাকাছি আসতে দেখি। বিষয়টি আমাদের জন্য খুবিই বিব্রতকর ছিল। কারণ আমরা পারিবারিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ একটি সমাজে বসবাস করি।”
ব্রিটিশ প্রবাসী ইম্মা জানিয়েছেন, এখন আমিরাতে কিছু মানুষ এমন পোশাক পরেন যেগুলো তারা নিজ দেশেও পরতেন না। তিনি আমিরাতের সংস্কৃতি ও রমজানকে সম্মান দেখিয়ে ওই ধরনের পোশাক পরার আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্র: খালিজ টাইমস