রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবায় অভূতপূর্ব অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ থেকে ‘সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড’ এবং গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইম্যুনাইজেশন (গ্যাভি) থেকে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ খেতাব প্রাপ্তি দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করেছে।
৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে একথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে : কাজ করি একসাথে’ যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। সরকার মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, এছাড়া, সরকার স্বাস্থ্যখাতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। এর ফলে জনগণের মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। মা ও শিশুদের টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ মডেল জাতিসংঘ কর্তৃক ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের সময়োপযোগী ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে। মহামারি নিয়ন্ত্রণে দ্রুততম সময়ে মানুষকে টিকা প্রদান ও আক্রান্ত রোগীর ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে বৈশ্বিক অঙ্গীকারের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।