লঞ্চে বেড়েছে ঢাকায় ফেরা যাত্রীর চাপ

ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটি শেষে শুরু হয়েছে রাজধানী ঢাকায় ফেরার চিরায়ত যুদ্ধ। ছুটি শেষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) দক্ষিণাঞ্চল থেকে লঞ্চযোগে আসা মানুষের চাপ গত দুদিনের চেয়ে বেড়েছে।

ঈদ ও বৈশাখের দীর্ঘ ৬ দিনের ছুটি শেষে আজ প্রথম কর্মদিবস। সে হিসেবে রাজধানীতে ফিরে আসা মানুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। সবকিছু মিলিয়ে রাজধানী এখনো অনেকটাই ফাঁকা ও যানজটমুক্ত বলা যায়।

সোমবার রাজধানীর সদরঘাট ঘুরে এবং বাংলাদেশ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে দেখা যায়, ৮টা পর্যন্ত সদরঘাটে ৭৮টি লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকায় এসেছে। ঘরে ফেরা মানুষের চাপ সামলাতে প্রায় সকল লঞ্চ যাত্রী রেখে ফের যাত্রী আনতে দ্রুত টার্মিনাল ত্যাগ করছে।

dhakapost

এ বিষয়ে বিআইডব্লিটিএর বাদিং সারেং আলমগীর হোসেন  বলেন, খুব সকাল থেকে এ পর্যন্ত ৭৮টি লঞ্চ ঢাকায় এসেছে। যেখানে গতকাল একই সময়ে ৯১টি লঞ্চ রাজধানীতে এসেছিল।

আজকে আসা প্রায় সকল লঞ্চ ঢাকায় যাত্রী রেখে দ্রুত টার্মিনাল ত্যাগ করেছে। লঞ্চগুলো হলো- এম.ভি. সুন্দরবন-১৬, মানামী, অ্যাডভেঞ্জার- ১ ও ৯, সুন্দরবন-১০ ও ১৪, প্রিন্স আওলাদ, কুয়াকাটা-২, প্রিন্স রাসেল ৫, শুভরাজ-৯, সম্রাট ও প্রিন্স কামাল ইত্যাদি। বেশ কয়েকটি স্পেশাল সার্ভিস বরিশাল থেকে ঢাকা এসেছে।   

তিনি বলেন, লম্বা ছুটি ছিল, এ কারণে মানুষ ধাপে ধাপে ফিরছে। গত দুদিনের তুলনায় রাজধানীতে ফেরা মানুষের চাপ আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে রাজধানী অধিকাংশ মানুষ কাজের টানে ফিরে আসবে।

dhakapost

বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত গিয়াস বলেন, ঈদের ছুটি কাটাতে গ্রামের বাড়ি বরিশালে গিয়েছিলাম। আজ ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ থাকলেও তা খুব বেশি নয়। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে লঞ্চের যাত্রী কমেছে। তারপরও অতিরিক্ত চাপ থাকায় আমাদের সকাল সাড়ে ৫টায় টার্মিনালে রেখে লঞ্চটি পুনরায় বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।

বিআইডব্লিটিএ সূত্র জানায়, ঢাকা-বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ৪০টি নৌরুটে সরাসরি দিন ও রাত্রিকালীন সার্ভিস মিলিয়ে শতাধিক লঞ্চ ঢাকা-বরিশাল-ঝালকাঠি-পটুয়াখালী-বরগুনা-ভোলা রুটে সরাসরি যাতায়াত করছে। তবে বিশেষ লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনা করে চলাচল করে। সাধারণ সময়ে লঞ্চগুলো বাই রোটেশন তালিকা অনুসারে চলাচল করে বলে জানা গেছে।