লিয়াকত হোসাইন লায়ন : জামালপুরের ইসলামপুরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলতি মৌসুমে ভূট্ট্রার বাম্পার ফলন হয়েছে। অল্প সময়ে কম খরচে কৃষকগন লাভবান হওয়ায় ভূট্ট্রা চাষের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম পুজি,ঝুকিহীন সেচ ও সার প্রয়েগের সুবিধা থাকায় কৃষকদের মাঝে ভূট্ট্রা চাষের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে উপজেলার কুলকান্দি, বেলগাছা, সাপধরী,পাথর্শী চিনাডুলী, পলবান্ধা, গাইবান্ধা,গোয়ালের চর, চর গোয়ালীনি, নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভূট্ট্রা চাষে আশানুরুপ ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির ঝিলিক।
উপজেলায় উৎপাদিত ভূট্ট্রা চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র সরবরাহ করা হয় বলে জানাগেছে। একাধিক কৃষক জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগীতা উন্নত জাতের ভূট্ট্রা চাষ আমাদের ভাগ্য পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে ভূট্ট্রা ফলন ঘরে তুলতে কৃষক-কৃষানীর ব্যস্ত সময় চলছে।
উপজেলা কৃষি অফিসসুত্রে জানাযায়, চলতি বছর ভূট্ট্রা চাষের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ২হাজার ২০ হেক্টর জমিনে আবাদ করা হয়েছে। এতে ২১হাজার ৫শত ৭৫ মেঃ টন লক্ষমাত্রা নির্নয় করা হয়েছে। চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকগন সহজে ভূট্ট্রা চাষ করে অন্য ফসলের তুলনায় বেশি আয় করছে। পলবান্ধা ইউনিয়নের চাষী কালু শেখ জানান, মাত্র ৩/৪ মাসের মধ্যে ঘরে তুলতে পারি। ভূট্ট্রা আবাদে দুএকবারের বেশী পানি দিতে হয় না। এছাড়া একবিঘা জমিতে কম সার ও দশ থেকে বার হাজার ভূট্ট্রার চারা রোপন করা যায়। ফলন ভালো তাই তিনি দ্বিগুন লাভের আশা করছেন। সাপধরী ইউনিয়নের ভূট্ট্রা চাষি হুসেন আলী জানান,অল্প দিনে ভূট্ট্রা তুলা যায়। ভূট্ট্রা আবাদের পর পাট আবাদের চিন্তা করছি। এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস সবসময় খোঁজ খবর রাখে। প্রতিটি গাছে এক বা দুইটা করে মোচা ধরে। প্রতি কেজি ভূট্ট্রা পঁচিশ থেকে ত্রিশ টাকায় বিক্রী করা যায়। এতে ভালো টাকা আয় করা সম্ভব। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অনেক এলাকায় ভূট্ট্রা তুলতে কৃষক-কৃষাণী ব্যস্ত সময় পার করছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএলএম রেজোয়ান জানান, আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় ভূট্ট্রার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। চলতি বছর এর লক্ষেমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কৃষকদের ভূট্ট্রা দিকে যতœবান হওয়ার জন্য উপ-সহকারী কৃষি কমকর্তাগন সব সময় নিয়োজিত আছেন। তাই চলতি বছরে ভূট্ট্রা চাষিরা লাভবান হবে।