কোনো রকম তাপ ছাড়াই শুধু আলো ব্যবহার করে পানি বাষ্পীভবনের প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেছেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) একদল বিজ্ঞানী। প্রক্রিয়াটির নাম ‘ফটোমোলিকুলার ইফেক্ট’।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মেঘ কীভাবে সূর্যের কাছ থেকে বেশি আলো শোষণ করে, তা নিয়ে বহু বছর ধরে বিভ্রান্তিতে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই নতুন আবিষ্কারের ফলে প্রায় ৮০ বছরের পুরনো একটি রহস্যের সমাধান হতে পারে।
পারডু ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক শিউলিন রুয়ান বলেন, ‘তাপের পরিবর্তে আলোর মাধ্যমে পানির বাষ্পীভবন হওয়ার প্রক্রিয়াটি পানি ও আলোর মিথষ্ক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের নতুন জ্ঞানের সন্ধান দেবে। এই আবিষ্কার সত্যিই অসাধারণ।’
এই শিক্ষক আরও বলেন, ‘সূর্যের আলো কীভাবে মেঘ, কুয়াশা, সাগর, মহাসাগর ও অন্যান্য জলাশয়ের পানির ও আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানতে এই আবিষ্কার সহায়তা করবে।’
গবেষকরা জানিয়েছেন, এই আবিষ্কার জলবায়ু পরিবর্তন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, বিশুদ্ধ পানির প্রাকৃতিক উপাদান ইত্যাদি বিষয়ে জানতে নতুন পথ উন্মোচন করবে।
গবেষণার সঙ্গে জড়িত এমআইটি অধ্যাপক গ্যাং চেন বলেন, ‘আমরা এই গবেষণার বিভিন্ন দিক নিয়ে ভেবেছি। এটি নিঃসন্দেহে মৌলিক বিজ্ঞানকে প্রভাবিত করবে। এর মাধ্যমে জলবায়ুর ওপর মেঘের প্রভাব সম্পর্কে বিশদ জানা যাবে।’
‘ফটোমোলিকুলার ইফেক্ট: ভিজিবল লাইট ইন্টারফেস উইথ এয়ার-ওয়াটার ইন্টারফেস’ শীর্ষক গবেষণা প্রবন্ধটি ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসে (পিএনএএস) প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণা প্রবন্ধটিতে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা এ গবেষণার জন্য ১৪টি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে শ্রমসাধ্য পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালিয়েছেন। এর পর নিশ্চিত হয়েছেন যে, দৃশ্যমান আলোর বর্ণালি থেকে ফোটনগুলো বাতাসের সংস্পর্শে আসা পানির ক্লাস্টারগুলোকে ‘ছিন্ন’ করতে পারে।