সাধলেন কাদের, রাজি হননি কেউ
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, উত্তর, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে দলের কর্মসূচি অবহিত করতে যৌথ সভা ডেকেছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সেই সভার সূচনা বক্তব্যের শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক অন্যান্য নেতাদের বক্তব্য দেবেন কি না— জিজ্ঞাসা করলেও কেউ রাজি হননি। এ অবস্থায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সূচনা বক্তব্যেই শেষ হয়ে যায় যৌথ সভা।
শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ যৌথ সভা ডাকা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা।
এদিন বিকেল ৪টা ১২ মিনিটে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যৌথ সভার সূচনা বক্তব্য শুরু করেন। তার আগে কেন্দ্রীয় নেতারা সভাস্থলে উপস্থিত হন।
যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, আইন বিষয় সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু প্রমুখ।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৪টা ১২ মিনিটে সূচনা বক্তব্য শুরু করে প্রায় ৩৬ মিনিট বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে সাধারণ সম্পাদক দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীর কবির নানককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আর কেউ কিছু বলবেন? বলেন… এসময় আওয়ামী লীগের এই দুই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ‘না’ বলেন। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায় যৌথ সভা। পরে কেন্দ্রীয় নেতারা কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। আর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কার্যালয়ে নিজ অফিসে চলে যান।
যৌথ সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ আমাদের যৌথ সভা ছিল। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে যৌথ সভা শেষ হয়েছে। তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কিন্তু এত মিডিয়ার সামনে কী বক্তব্য দেওয়া যায়?
যৌথ সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি, ছাত্রলীগের সভাপতি, মহিলা লীগের সভাপতি, যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।